রামুতে জলাবদ্ধতায় চরম দূর্ভোগ পোহাচ্ছে ৩ গ্রামের ৫ শ পরিবার

কক্সবাজারের রামু উপজেলার রাজারকুল ইউনিয়নে চলতি বর্ষা মৌসুমে জলাবদ্ধায় চরম দূর্ভোগ পোহাচ্ছে ৩ টি গ্রামের ৫০০ পরিবার। এলাকার জনপ্রতিনিধি ও ভুক্তভোগীরা জানিয়েছেন - রাজারকুল - চেইন্দা সড়কের পাশে সরকারি খাস খতিয়ানভূক্ত নালাটি দখল করে প্রভাবশালীরা স্থাপনা নির্মাণ করায় এ জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হয়েছে। প্রশাসন অভিযান চালিয়ে ওই নালাটি দখলমুক্ত করে পানি চলাচলের উপযোগি করলে ৩টি গ্রামের বাসিন্দারা জলাবদ্ধতার অভিশাপ থেকে মুক্তি পাবে। এলাকার ভুক্তভোগীদের সাথে আলাপ করে জানা গেছে , চলতি বর্ষা মৌসুমের শুরু থেকে রাজারকুল ইউনিয়নের ১ নাম্বার ওয়ার্ডের হাফেজ পাড়া , হালদারকুল ও ধরপাড়ার ৫ পরিবার পানিবন্দী হয়ে পড়েছে। এ কারণে লোকজন চলাচলে চরম দূর্ভোগের শিকার হচ্ছে। পানি জমে থাকায় অনেক বাড়িতে রান্নাবান্নার কাজ বিঘ্নিত হচ্ছে। ভারী বর্ষণ হলে চলাচলের পথ ডুবে যাওয়ায় অনেক ছাত্রছাত্রী শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে যেতে পারে না। আবার জমে থাকা পানির কারণে রোগব্যাধিও ছড়িয়ে পড়ছে। রাজারকুল ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য এরশাদ উল্লাহ জানান - পানি চলাচলের নালাটি অনেকে দেয়াল ও বসত ঘর তৈরী করে দখল করেছেন। এ কারণে পানি সহসা চলাচল করতে না পারায় জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হয়েছে। জনদূর্ভোগ লাঘবে তিনি ব্যক্তিগত উদ্যোগে কিছুটা সংস্কারও করেছেন। তবে পুরোপুরি সুফল পেতে হলে অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করে নালাটি সংস্কার করতে হবে। এ জন্য রাজারকুল ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মুফিজুর রহমানের সহায়তায় তিনি চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন। ওই এলাকার সাবেক ইউপি সদস্য ছৈয়দ নুর জানিয়েছেন - সাম্প্রতিক সময়ে একাধিক প্রভাবশালী ব্যক্তি নালাটি দখল করে স্থাপনা নির্মাণ করেছেন। পাশাপাশি যথাসময়ে নালাটি পরিস্কার পরিচ্ছন্ন ও সংস্কার না করায় চলতি বর্ষা মৌসুমে পানি চলাচল ব্যাহত হচ্ছে। ফলে রাজারকুল ইউনিয়নের ধরপাড়া , হাফেজপাড়া ও হালদারকুল গ্রামের হাজারো মানুষ পানিবন্দী হয়ে পড়েছে। পানিতে একাকার হওয়ায় রাজারকুল - চাকমারকুল সংযোগ সেতুর সংযোগ সড়কের পাশে গ্রামে অগিললিও ডুবে গেছে। এ কারণে চাকমারকুল , রাজারকুল ও দক্ষিণ মিঠাছড়ি ইউনিয়নের হাজারো মানুষ চলাচলে চরম দূর্ভোগের শিকার হচ্ছে। রামু উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো . রাশেদুল ইসলাম জানিয়েছেন - নালা দখল করে জনদূর্ভোগ সৃষ্টির বিষয়টি তিনি জেনেছেন। এ ধরনের কাজে জড়িতদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে। বিষয়টি সমাধানের জন্য উপজেলা সহকারি কমিশনার ( ভূমি ) কে নির্দেশ দিয়েছেন। সহসা তিনি ( এসিল্যান্ড ) ওই এলাকায় যাবেন।