পানিতে তলিয়ে আছে দীঘিনালার কয়েকটি গ্রাম, লংগদুর সঙ্গে সড়ক যোগাযোগ বন্ধ

খাগড়াছড়ির দীঘিনালা উপজেলার মেরুং ইউনিয়নের কয়েকটি গ্রাম এখনো টানা বৃষ্টিপাতের কারণে সৃষ্ট বন্যার পানিতে তলিয়ে আছে। মাইনী নদীর পানি হঠাৎ বৃদ্ধি পাওয়ায় ছোট মেরুং বাজার এলাকা, সোবহানপুর, চিটাগাং পাড়া, কবাখালীসহ আশপাশের গ্রামগুলো এখনো প্লাবিত অবস্থায় রয়েছে।
বন্যার কারণে দীঘিনালা-লংগদু সড়কের স্টিলব্রিজ এলাকায় সড়ক তলিয়ে যাওয়ায় গত দুই দিন ধরে রাঙামাটির লংগদুর সাথে দীঘিনালার সড়ক যোগাযোগ পুরোপুরি বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে। এতে ভোগান্তিতে পড়েছে সাধারণ মানুষ ও যাত্রীরা।
বন্যাকবলিত এলাকায় ক্ষতিগ্রস্তদের আশ্রয়ের জন্য ছোট মেরুং সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়কে আশ্রয়কেন্দ্র হিসেবে ব্যবহার করা হচ্ছে। বর্তমানে ৩৪টি পরিবার এখানে অবস্থান করছেন। তাদের জন্য শুকনো খাবারের ব্যবস্থা করেছে দীঘিনালা উপজেলা প্রশাসন।
ছোট মেরুং বাজার এলাকার বাসিন্দা জয়নব বেগম জানান, হঠাৎ পানি বেড়ে যাওয়ায় তিনি বড় ধরনের ক্ষতির মুখে পড়েছেন। তার বসতঘরটি পানির তোরে ভেঙে গেছে। কীভাবে নতুন করে ঘর তুলবেন তা নিয়ে দুশ্চিন্তায় আছেন তিনি।
আশ্রয়কেন্দ্রে আসা জয়নব বিবি বলেন, বন্যার পানিতে তার গৃহপালিত ছাগল ও হাঁস-মুরগির বড় ক্ষতি হয়েছে। ইতিমধ্যেই দুটি ছাগল ও অনেকগুলো মুরগির বাচ্চা পানিতে মারা গেছে।
আশ্রয়কেন্দ্রে থাকা আরেক বাসিন্দা মনোয়ারা বেগম জানান, বন্যার পানিতে তার ঘরের অধিকাংশ জিনিসপত্র নষ্ট হয়ে গেছে। তারও একটি ঘর পানির তোড়ে ভেঙে গেছে।
তবে বুধবার রাত থেকে বৃষ্টি বন্ধ থাকায় চেঙ্গি নদীর পানি কিছুটা কমতে শুরু করেছে। ফলে খাগড়াছড়ি সদরের নিচু এলাকা থেকে বন্যার পানি নামতে শুরু করেছে।
কবাখালী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান জ্ঞান চাকমা জানান, ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারগুলোকে সরকারি সহায়তা দেওয়া হচ্ছে। পাশাপাশি আশ্রয়কেন্দ্রে থাকা মানুষদের জন্য প্রয়োজনীয় সহায়তা অব্যাহত রাখা হবে।
দীঘিনালা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ভারপ্রাপ্ত) সুজন চন্দ্র রায় বন্যাকবলিত এলাকা পরিদর্শন করেছেন।
তিনি জানান, আশ্রয়কেন্দ্রে শুকনো খাবারের ব্যবস্থা করা হয়েছে এবং দুর্যোগ মোকাবিলায় উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে প্রয়োজনীয় প্রস্তুতি গ্রহণ করা হয়েছে।