Ads

গাজায় ইসরায়েলি হামলায় প্রাণ গেল আরও ৮২ ফিলিস্তিনির

গাজায় ইসরায়েলি হামলায় প্রাণ গেল আরও ৮২ ফিলিস্তিনির
ছবি সংগৃহীত।

আন্তর্জাতিক ডেস্ক

অবরুদ্ধ গাজায় ইসরায়েলি বাহিনীর হামলায় রোববার (৬ জুলাই) আরও অন্তত ৮২ জন ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। এর মধ্যে গাজা সিটিতেই প্রাণ গেছে ৩৯ জনের। এর একদিন আগেই গতকাল শনিবার গাজা উপত্যকাজুড়ে ইসরায়েলি বাহিনীর হামলায় ৭৮ জনের প্রাণহানি হয়েছিল। খবর আল-জাজিরার।

গাজায় অব্যাহতভাবে চলা হামলায় পুরো উপত্যকা মৃত্যুপুরীতে পরিণত হয়েছে আরও আগেই। সেখানে এখন খাদ্য সংকট তীব্র আকার ধারণ করেছে। পুরো উপত্যকায় নেমে আসছে মানবিক বিপর্যয়। এর মধ্যে ত্রাণকেন্দ্রগুলোতে খাবার নিতে গিয়ে ইসরায়েলি হামলার মুখে পড়ছেন সেখানকার বাসিন্দারা।


গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় শনিবার (৫ জুলাই) এক পরিসংখ্যানে জানায়, উপত্যকায় ইসরায়েল ও যুক্তরাষ্ট্র সমর্থিত ত্রাণ উদ্যোগ গাজা হিউম্যানিটারিয়ান ফাউন্ডেশনের (জিএইচএফ) কেন্দ্রগুলো থেকে খাবার সংগ্রহ করার সময় কমপক্ষে ৭৪৩ ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন আরও অন্তত ৪ হাজার ৮৯১ জন।

ট্রাম্প প্রশাসন গত জুনের শেষ দিকে জিএইচএফকে ৩০ মিলিয়ন ডলার সরাসরি অনুদান দেওয়ার ঘোষণা দেয়। তবে অভিযোগ আছে, ইসরায়েলি বাহিনী জিএইচএফ কেন্দ্রগুলোর আশপাশের স্থানে খাবারের জন্য অপেক্ষারত ফিলিস্তিনিদের লক্ষ্য করে প্রতিনিয়ত হামলা চালাচ্ছে।


এ নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের ভূমিকার সমালোচনা থাকলেও মার্কিন প্রশাসনের দাবি, জিএইচএফ একমাত্র সংগঠন যারা গাজা উপত্যকায় খাদ্য ও ত্রাণ সরবরাহ করতে পেরেছে।

২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর ইসরায়েলে আকস্মিক হামলা চালায় ফিলিস্তিনি স্বাধীনতাকামী সংগঠন হামাস। এরপর থেকেই গাজায় ধ্বংসযজ্ঞ চালাচ্ছে দখলদার সেনারা।

গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের তথ্য মোতাবেক, গাজায় ইসলায়েলি হামলায় এখন পর্যন্ত ৫৭ হাজার ৪১৮ জন নিহত ও এক লাখ ৩৬ হাজার ২৬১ জন আহত হয়েছেন।
দুই মাসের যুদ্ধবিরতি ভেঙে গত মার্চে গাজায় নতুন করে হামলা শুরু করে ইসরায়েল। এদিকে, গাজায় যুক্তরাষ্ট্রের সাম্প্রতিক যুদ্ধবিরতির প্রস্তাবে ইতিবাচক সাড়া দিয়েছে ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী সংগঠন হামাস।

ইসরায়েল ও ফিলিস্তিনের মধ্যে প্রায় ২১ মাস ধরে চলা যুদ্ধের ইতি টানতে সম্প্রতি মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ৬০ দিনের যুদ্ধবিরতির চূড়ান্ত প্রস্তাব উত্থাপন করেন। আগামী সপ্তাহেই গাজায় যুদ্ধবিরতি চুক্তি হতে পারে, গত শুক্রবার সাংবাদিকদের জানিয়েছেন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প।

গাজায় যুদ্ধবিরতির প্রস্তাব নিয়ে আলোচনার জন্য মধ্যস্থতাকারী দেশ কাতারে প্রতিনিধিদল পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছেন ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু।




Ads

১৫ শতাংশ কমিয়ে বাংলাদেশের ওপর যুক্তরাষ্ট্রের শুল্ক ২০ শতাংশ

১৫ শতাংশ কমিয়ে বাংলাদেশের ওপর যুক্তরাষ্ট্রের শুল্ক ২০ শতাংশ
ছবি সংগৃহীত।


বাংলাদেশের পণ্য আমদানির ওপর ২০ শতাংশ পাল্টা শুল্ক আরোপ করেছে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। গতকাল বৃহস্পতিবার এক নির্বাহী আদেশে এই ঘোষণা দেওয়া হয়। এর আগে, বাংলাদেশকে চিঠি 

দিয়ে ৩৫ শতাংশ পাল্টা শুল্কের কথা জানিয়েছিল মার্কিন প্রশাসন। সেই হিসাবে শুল্ক ১৫ শতাংশ কমিয়ে নতুন হার ঘোষণা করা হয়েছে।

হোয়াইট হাউসের ঘোষণা অনুযায়ী, অন্যান্য দেশগুলোর মধ্যে পাকিস্তানের ওপর ১৯ শতাংশ, আফগানিস্তানের ওপর ১৫ শতাংশ, ভারতের ওপর ২৫ শতাংশ, ব্রাজিলের ওপর ১০ শতাংশ, ইন্দোনেশিয়ার ওপর ১৯ শতাংশ, মালয়েশিয়ার ওপর ১৯ শতাংশ, মিয়ানমারের ওপর ৪০ শতাংশ, ফিলিপাইনের ওপর ১৯ শতাংশ, শ্রীলঙ্কার ওপর ২০ শতাংশ, ভিয়েতনামের ওপর ২০ শতাংশ শুল্ক আরোপ করেছে ওয়াশিংটন।

গত ২ এপ্রিল বাণিজ্য ঘাটতির কথা উল্লেখ করে বিশ্বের বিভিন্ন দেশের ওপর উচ্চহারে পাল্টা শুল্ক আরোপ করেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। তখন বাংলাদেশের ওপর ৩৫ শতাংশ শুল্ক আরোপ করা হয়েছিল। পরে ৯ এপ্রিল বিভিন্ন দেশের ওপর ওই শুল্ক তিন মাসের জন্য স্থগিত করা হয়। এ সময় শুল্ক নিয়ে আলোচনার জন্য যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে বিভিন্ন দেশকে আলোচনার সুযোগ দেয় ওয়াশিংটন।
যুক্তরাষ্ট্রের আরোপিত ৩৫ শতাংশ পাল্টা শুল্ক নিয়ে তৃতীয় দফার আলোচনা শুরু হয়েছে মঙ্গলবার (২৯ জুলাই)। বাংলাদেশের পক্ষে যার নেতৃত্বে ছিলেন বাণিজ্য উপদেষ্টা শেখ বশিরউদ্দীন। যুক্তরাষ্ট্রের বাণিজ্য প্রতিনিধি (ইউএসটিআর) দপ্তরের সঙ্গে শুরু হওয়া তিন দিনব্যাপী এ আলোচনার শেষদিন ছিল আজ।

আগের দুই দফা বৈঠকে নানা ইস্যুতে দু’পক্ষের মধ্যে ফলপ্রসূ আলোচনা হয়েছে বলে জানা গেছে। তবে পাল্টা শুল্ক কমানোর বিষয়ে কোনো ইঙ্গিত পাওয়া যায়নি। আজকের আলোচনা শেষে উভয়পক্ষ যৌথভাবে এ বিষয়ে ঘোষণা দেন।

বাংলাদেশকে বর্তমানের গড় ১৫ শতাংশ ও নতুন পাল্টা শুল্ক ২০ শতাংশ, অর্থাৎ মোট ৩৫ শতাংশ শুল্ক দিয়ে যুক্তরাষ্ট্রে পণ্য রপ্তানি করতে হবে।




Ads

কানাডায় বৃহত্তর চট্টগ্রাম সমিতি ক্যুইনেক কানাডার বার্ষিক বনভোজন ও চাটগাঁইয়া মিলনমেলা অনুষ্ঠিত

কানাডায় বৃহত্তর চট্টগ্রাম সমিতি ক্যুইনেক কানাডার বার্ষিক বনভোজন ও চাটগাঁইয়া মিলনমেলা অনুষ্ঠিত
ছবি সংগৃহীত।


বৃহত্তর চট্টগ্রাম সমিতি ক্যুইনেক  কানাডার আয়োজনে বার্ষিক বনভোজন ও চাটগাঁইয়া মিলনমেলা ২০২৫ অনুষ্ঠিত হয়েছে। মনোরম পরিবেশে দিনব্যাপী এই অনুষ্ঠান আয়োজন করা হয় Nature Center, 225 Chem. de la Plage, Cowansville, QC J2K 2J3-তে।

সংগঠনের সভাপতি মো: ইলিয়াস এর সভাপতিত্বে,সাধারণ সম্পাদক আল আমিন সিকদার  ও নওশাদ চৌধুরী মিটু এর সঞ্চালনায় আয়োজিত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের মাননীয় মেয়র ডা: শাহাদাত হোসেন।

মেয়র ডা: শাহাদাত হোসেন তার বক্তব্যে বলেন:
"বাংলাদেশ ও কানাডার মধ্যে দ্বিপাক্ষিক চুক্তির মাধ্যমে পারস্পরিক সমঝোতা বৃদ্ধি পেলে রপ্তানি ও আমদানি কার্যক্রম আরও বেগবান করা সম্ভব। বিশেষ করে চট্টগ্রামের বন্দরনগরী এই ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারে।

অনুষ্ঠানে কার্যনির্বাহী কমিটির সদস্যবৃন্দ এবং মন্ট্রিয়ল ও আশপাশের শহর থেকে আগত প্রবাসী চট্টগ্রামবাসীসহ বিপুল সংখ্যক প্রবাসী উপস্থিত ছিলেন।

অনুষ্ঠানে আরো উপস্থিত ছিলেন গ্রান্ড স্পনসর 
ইন্জি: এ হেলাল,গোল্ডেন স্পনসর নাদির হামিদ ও রিয়াজ হামিদ। এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন সাবেক সভাপতি ও উপদেষ্টা আবু ইউনুস সুজন,আ স ম ইসমাইল,মো: আলী জিন্নাহ,মুক্তিযোদ্ধা মো:  ইয়াকুব,মো: দিদারুল আলম,
মো: দিদারুল মোস্তফা,আবসার উদ্দীন চৌধুরী,মো: শাহজাহান,মো: নুরুল আবসার,নূর মোহাম্মদ চৌধুরী, মোঃ নিজাম উদ্দীন চৌধুরী, মোঃ মোসালেম উদ্দিন বাবুল, সুশান্ত বড়ুয়া,কাইসুল হক,আরাফাত হোসেন,মোহাম্মদ জাবেদ,এম সহিদ,
জুয়েল দেবনাথ, মোঃ ইমতিয়াজ সাজু,মো: ইমতিয়াজ রাজু,কাজী সোয়েব,মোস্তফা কামান, ইকবাল করিম তুষান,মো: ইমরান উদ্দিন,মোহাম্মদ ইসমাইল প্রমুখ।

দিনব্যাপী আয়োজনে ছিলো
বাচ্চাদের হরেক রকম খেলাধুলা, র‌্যাফেল ড্র, কুইজ প্রতিযোগিতা, ঐতিহ্যবাহী খাবার পরিবেশন এবং মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান।




Ads

বাংলাদেশের বিশ্বাসযোগ্য বন্ধু হতে চায় চীন

বাংলাদেশের বিশ্বাসযোগ্য বন্ধু হতে চায় চীন
ছবি সংগৃহীত।


চীন সবসময় বাংলাদেশের বিশ্বাসযোগ্য বন্ধু হতে চায় বলে জানিয়েছেন দেশটির পররাষ্ট্রমন্ত্রী ওয়াং ই।


বৃহস্পতিবার (১০ জুলাই) মালয়েশিয়ার রাজধানী কুয়ালালামপুরে পররাষ্ট্র উপদেষ্টা তৌহিদ হোসেনের সঙ্গে বৈঠকে বসেন ওয়াং ই। এসময় তিনি পররাষ্ট্র উপদেষ্টাকে বলেন, বাংলাদেশের বন্ধু হওয়ার পাশাপাশি বিশ্বাসযোগ্য প্রতিবেশী এবং সহযোগী হতে চান তারা।

এছাড়া চীন বাংলাদেশে সুষ্ঠু নির্বাচন আয়োজনকে সমর্থন জানায় বলে জানান তিনি। এর সঙ্গে বাংলাদেশের প্রয়োজন অনুযায়ী উন্নয়নের পথ অন্বেষণে পাশে থাকার প্রতিশ্রুতিও দেন তিনি।
ওয়াং ই চীনের কমিউনিস্ট পার্টির কেন্দ্রীয় কমিটির পলিটিক্যাল ব্যুরোর একজন সদস্য।
বৈঠকে তিনি বাংলাদেশ-চীন কূটনৈতিক সম্পর্কের ৫০ বছর পূর্তির কথা উল্লেখ করে বলেন, এটি দুই দেশের পুরোনো ইতিহাস এবং ভবিষ্যত পরিকল্পনার জন্য গুরুত্বপূর্ণ। তিনি আরও বলেন, বাংলাদেশ ও এশিয়ার অন্যান্য দেশকে আধুনিক এবং উন্নত করতে চীন কাজ করতে চায়।



দৈনিক সাম্পান

Latest News

ক্যাটাগরি