Ads

চট্টগ্রামে স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতার মরদেহ উদ্ধার

চট্টগ্রামে স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতার মরদেহ উদ্ধার
ছবি সংগৃহীত।


চট্টগ্রামের পটিয়া উপজেলার শোভনদন্ডী ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য শামসেদ হিরুর মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। শুক্রবার (১১ জুলাই) রশিদাবাদ গ্রামে ভুক্তভোগীর বাড়ির পাশের কাচারি বাড়ি থেকে ঝুলন্ত অবস্থায় মরদেহটি উদ্ধার করা হয়।


শামসেদ ওই এলাকার মো. শুক্কুর মেম্বারের ছেলে। তিনি দক্ষিণ জেলা সেচ্ছাসেবক লীগের সদস্য ছিলেন।

স্থানীয়রা জানায়, পটিয়া থানায় মামলা থাকার কারণে শামসেদ নিজের বাড়িতে থাকতেন না। পার্শ্ববর্তী একটি কাচারি ঘরে থাকতেন। শুক্রবার সকালে ভুক্তভোগীর স্ত্রী ঘুম থেকে ডাকার জন্য গেলে ঝুলন্ত অবস্থায় দেখতে পান। খবর পেয়ে পুলিশ গিয়ে মরদেহটি উদ্ধার করে।


পটিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মনিরুজ্জামান বলেন, মরদেহটি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। প্রতিবেদন পেলে মৃত্যুর প্রকৃত কারণ জানা যাবে। এ ঘটনায় তদন্ত সাপেক্ষে আইনগত পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে।




Ads

অভিজ্ঞ প্রতিষ্ঠানকে নির্ধারিত হারে ময়লা সংগ্রহের দায়িত্ব দেওয়া হচ্ছে

অভিজ্ঞ প্রতিষ্ঠানকে নির্ধারিত হারে ময়লা সংগ্রহের দায়িত্ব দেওয়া হচ্ছে
ছবি সংগৃহীত।


চট্টগ্রাম শহরের বর্জ্য ব্যবস্থাপনার দায়িত্ব দেওয়া হচ্ছে বেসরকারি প্রতিষ্ঠানকে। ইতোমধ্যে নগরের ২৪ ওয়ার্ডে ২৪টি প্রতিষ্ঠানকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। অধিকাংশ প্রতিষ্ঠানের মালিক বিএনপি এবং দলটির অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মী। এর মাধ্যমে অন্তত ৪০০ কোটি টাকার ব্যবসা করবে প্রতিষ্ঠানগুলো। এর মধ্যে আবার নেই প্রতিষ্ঠানগুলোর তেমন অভিজ্ঞতা। পাশাপাশি ময়লা ব্যবস্থাপনার জন্য প্রয়োজনীয় সরঞ্জাম নেই বেশিরভাগ প্রতিষ্ঠানের।


বিষয়টি বিভিন্ন গণমাধ্যমে প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়। এরপর মঙ্গলবার (১৫ জুলাই) সংবাদ সম্মেলন ডাকে চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন (চসিক)।

এতে প্রধান পরিচ্ছন্ন কর্মকর্তা কমান্ডার ইখতিয়ার উদ্দিন আহমেদ চৌধুরী বলেন, চট্টগ্রাম নগরীতে বাসাবাড়ি থেকে ডোর-টু-ডোর ময়লা সংগ্রহে দীর্ঘদিন ধরে চলা নৈরাজ্য ও ইচ্ছামতো টাকা আদায় রোধে নীতিমালা প্রণয়ন করা হয়েছে। চসিকের নতুন নীতিমালার আওতায় বাসা-বাড়িগুলো থেকে ন্যূনতম হারে সেবামূল্য নির্ধারণ করা হয়েছে। এর বাইরে কাউকে অতিরিক্ত টাকা আদায় করতে দেওয়া হবে না। ময়লা সংগ্রহে সেবা নিশ্চিতে ৪১টি ওয়ার্ডের জন্য টেন্ডার আহ্বান করে ১৯২টি শিডিউল বিক্রি হয়েছে। যাচাই-বাছাই শেষে অভিজ্ঞ ও সক্ষম প্রতিষ্ঠানকে নির্ধারিত হারে ময়লা সংগ্রহের দায়িত্ব দেওয়া হচ্ছে।


তিনি বলেন, কোনো প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে অভিযোগ পেলে সংশ্লিষ্ট ঠিকাদারের বিরুদ্ধে প্রথমে সতর্কতা, পরে চুক্তি বাতিল পর্যন্ত ব্যবস্থা নেওয়া হবে। আমাদের উদ্দেশ্য নগরবাসীকে একটা সহনীয়, সুশৃঙ্খল ও নিরবচ্ছিন্ন পরিচ্ছন্নতা সেবা দেওয়া।

নগরীতে চলমান জলাবদ্ধতার জন্য বাসাবাড়ি থেকে যত্রতত্র ময়লা ফেলা এবং অপরিকল্পিত আবর্জনা ব্যবস্থাপনাকে দায়ী করে ইখতিয়ার উদ্দিন আহমেদ বলেন, ড্রেন পরিষ্কারের পর আবার ময়লা জমে। কারণ, অনেকে জানালা দিয়ে ময়লা ফেলে দেয়। আমরা চাই এই ব্যবস্থাকে সঠিক পথে নিয়ে আসতে। বর্তমানে কিছু কোম্পানি মসজিদ-মাদরাসা থেকে ২০০০-৩০০০ টাকা পর্যন্ত আদায় করছে। অথচ সিটি কর্পোরেশনের সঙ্গে তাদের কোনো চুক্তি নেই। আরেকটি প্রতিষ্ঠান হাইকোর্টে রিট করেও কিছু এলাকায় তারা কাজ বন্ধ রাখছে। আমরা আইনি পথে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিচ্ছি।


তিনি বলেন, নতুন সিস্টেমে প্রতিটি কোম্পানিকে শ্রমিকের বেতন, গাড়ির সংখ্যা ও এলাকা অনুযায়ী সক্ষমতা যাচাই করে অনুমোদন দেওয়া হবে। বিশেষ করে যাদের শ্রম মন্ত্রণালয় থেকে লাইসেন্স আছে, তাদের অগ্রাধিকার দেওয়া হচ্ছে। আমি প্রতিদিন ৩০-৪০টি কল পাই, যেখানে বাসা থেকে ময়লা নিচ্ছে না বলে অভিযোগ করা হয়। মানুষ বলছে—টাকা দিচ্ছি, ময়লা নিচ্ছে না। তাই আমরা সঠিক প্রক্রিয়ায় এই সমস্যার সমাধান করতে চাই।

তিনি আরও বলেন, ইতোপূর্বে প্রায় ২০০০ পরিচ্ছন্নতাকর্মী ডোর-টু-ডোর কাজের জন্য নিয়োগ পেলেও যারা তিন মাস ধরে কাজে আসছেন না, আমরা ‘নো ওয়ার্ক, নো পে’ নীতিতে তাদের বাদ দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছি এবং নতুন শ্রমিক নিয়োগের প্রস্তুতি নিচ্ছি। অনেক যন্ত্রপাতি ২০-২৫ বছরের পুরোনো। স্কেভেটর বা চেইন ডোজার ভাড়া করে ময়লা সরাতে হচ্ছে। নাগরিকদের সেবায় এই খাতে আরও বরাদ্দ প্রয়োজন।

সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন- চসিক সচিব মো. আশরাফুল আমিন, প্রধান রাজস্ব কর্মকর্তা সরোয়ার কামাল, ম্যালেরিয়া ও মশক নিয়ন্ত্রণ কর্মকর্তা মো. শরফুল ইসলাম মাহি এবং উপ-প্রধান পরিচ্ছন্ন কর্মকর্তা প্রণব কুমার শর্মা প্রমুখ।


চসিকের প্রধান কাজ ময়লা ব্যবস্থাপনা, সড়ক বাতি ও অবকাঠামোগত উন্নয়ন। এজন্য নগরবাসীর কাছ থেকে টাকা আদায় করে চসিক। তারপরও ময়লা ব্যবস্থাপনার দায়িত্ব দেওয়া হয় বেসরকারি প্রতিষ্ঠানকে। যারা নগরবাসীর কাছ থেকে টাকার বিনিময়ে ময়লা সংগ্রহ করবে। এক্ষেত্রে চসিকের যুক্তি ঘর থেকে ময়লা সংগ্রহ তাদের দায়িত্ব না। তারা নির্দিষ্ট স্থান থেকে ময়লা সংগ্রহ করবে। যদিও ঘর থেকে ময়লা সংগ্রহের জন্য প্রায় ২ হাজার লোক নিয়োগ দিয়েছিল সিটি কর্পোরেশন। এখন আবার নতুন করে বেসরকারি প্রতিষ্ঠানকে দেওয়া মানে নগরবাসীকে ময়লার জন্য করের টাকার পাশাপাশি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানগুলোকে টাকা দিতে হবে।




Ads

চট্টগ্রামে স্বৈরাচারের পুনর্জাগরণের চেষ্টা তাহেরের

চট্টগ্রামে স্বৈরাচারের পুনর্জাগরণের চেষ্টা তাহেরের
ছবি সংগৃহীত।

স্বৈরাচারবিরোধী আন্দোলনের ইতিহাসে নিন্দিত নাম জাতীয় পার্টি। সাবেক সামরিক শাসক হুসেইন মুহম্মদ এরশাদের নেতৃত্বে দলটি দীর্ঘকাল ক্ষমতায় থেকে দমন-পীড়নের রাজনীতি চালিয়েছে। বর্তমানে এরশাদের ভাই গোলাম মোহাম্মদ কাদের দলটির চেয়ারম্যান হলেও রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা তাকে আওয়ামী লীগের ‘দোসর’ বলেই চিহ্নিত করছেন। দীর্ঘদিন ধরেই আওয়ামী লীগকে ক্ষমতায় রাখতে জাতীয় পার্টি সহযোগী ভূমিকা পালন করেছে।
২০২৫ সালের ৫ আগস্ট ছাত্র ও জনতা দলটির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে অগ্নিসংযোগ করে। সেই ঘটনার পর থেকে সারাদেশে জাতীয় পার্টির কার্যক্রম কার্যত অচল হয়ে পড়ে। কিন্তু ব্যতিক্রম দেখা যাচ্ছে বন্দরনগরী চট্টগ্রামে। এখানেই দলটির কার্যক্রম নতুন করে দৃশ্যমান হচ্ছে, আর সেই নেতৃত্ব দিচ্ছেন আওয়ামী লীগের দীর্ঘদিনের সুবিধাভোগী হিসেবে পরিচিত আলহাজ্ব আবু তাহের।
স্থানীয় সূত্রের দাবি, আবু তাহের মূলত জাতীয় পার্টির ব্যানারে আওয়ামী লীগকে চট্টগ্রামে পুনরায় সংগঠিত করতে সক্রিয় রয়েছেন। অভিযোগ রয়েছে, আওয়ামী লীগের ছায়াতলে থেকে তিনি দীর্ঘ ১৭ বছর ধরে বিভিন্ন সুবিধা ভোগ করেছেন। এবার জাতীয় পার্টির প্রেসিডিয়াম সদস্য হিসেবে তার নিয়োগকে ঘিরে সেই অভিযোগ আরও জোরালো হয়েছে।  
২৬ জুন জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান গোলাম মোহাম্মদ কাদের স্বাক্ষরিত এক চিঠিতে তাকে দলের কেন্দ্রীয় প্রেসিডিয়াম সদস্য হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হয়। চিঠিতে তার সাংগঠনিক দক্ষতার প্রশংসা থাকলেও বাস্তবে চট্টগ্রামে তার ভূমিকা নিয়ে দলের ভেতরে ও বাইরে তীব্র সমালোচনা রয়েছে।
দীর্ঘদিন ধরে তিনি দলের চেয়ারম্যানের উপদেষ্টার দায়িত্বে থাকলেও, তার বিরুদ্ধে একক আধিপত্য কায়েম, বিরোধী কণ্ঠ দমন এবং নিজের অনুসারীদের বিভিন্ন পদে বসানোর অভিযোগ রয়েছে। অনেকেই মনে করছেন, এই নিয়োগ জাতীয় পার্টির পুনর্গঠনের পরিবর্তে এক ধ্বংসাত্মক নেতৃত্বকে পুরস্কৃত করার সামিল।
চট্টগ্রাম বরাবরই গণতান্ত্রিক চেতনার ঘাঁটি হিসেবে পরিচিত। সেই জায়গায় স্বৈরতান্ত্রিক ঐতিহ্যের অধিকারী একটি দলকে পুনরায় সক্রিয় করার চেষ্টা অনেকেই ‘গণতন্ত্রের ওপর আঘাত’ হিসেবে দেখছেন। রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের মতে, জাতীয় পার্টি এখনো স্বৈরশাসনের ছায়া থেকে বের হয়ে আসতে পারেনি।
আবু তাহেরপন্থীরা অবশ্য দাবি করছেন, তিনি দলের দুঃসময়ে নেতৃত্ব দিয়েছেন এবং বর্তমানে সংগঠন পুনর্গঠনের কাজ করছেন বলেই তাকে প্রেসিডিয়াম পদে আনা হয়েছে। কিন্তু তার অধীনে দলীয় কার্যক্রম কতটা গণভিত্তি তৈরি করতে পেরেছে — তা নিয়ে প্রশ্ন রয়েই গেছে। বরং দলীয় কোন্দল, নতুন প্রজন্মের অবহেলা এবং অভ্যন্তরীণ অসন্তোষের অভিযোগই বেশি শোনা যাচ্ছে।
বিশেষ করে আওয়ামী লীগের হয়ে কাজ করেও এখন জাতীয় পার্টির কেন্দ্রীয় নেতৃত্বে উঠে আসার বিষয়টি অনেকের কাছে ‘রাজনৈতিক প্রতারণা’ বলেই বিবেচিত হচ্ছে।
এ বিষয়ে আলহাজ্ব আবু তাহেরের মন্তব্য জানতে চাইলে একাধিকবার ফোন করা হলেও তিনি সাড়া দেননি। ফলে তার বক্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নি।
 




Ads

পরকীয়ার জেরে স্বামীকে হত্যা, স্ত্রীসহ ৩ জনের মৃত্যুদণ্ড

পরকীয়ার জেরে স্বামীকে হত্যা, স্ত্রীসহ ৩ জনের মৃত্যুদণ্ড
ছবি সংগৃহীত।


চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ড উপজেলায় পরকীয়ার জেরে স্বামীকে হত্যার দায়ের তার স্ত্রী রিমা আক্তারসহ তিনজনকে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছেন আদালত। সোমবার (১৪ জুলাই) চট্টগ্রামের অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক এইচ এম শফিকুল ইসলাম এ রায় ঘোষণা করেন।
দণ্ডিতরা হলেন– রিমা আক্তার, শাহাদাত হোসেন কাইয়ুম ও আবদুল কাইয়ুম। রায় ঘোষণার সময় তারা আদালতে উপস্থিত ছিলেন। পরে সাজা পরোয়ানাসহ তাদের কারাগারে পাঠানো হয়।

আদালত সূত্রে জানা গেছে, ২০২১ সালের ৯ এপ্রিল রাতে চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ড উপজেলার বাড়বকুণ্ডের তেলিপাড়া এলাকায় জয়নাল আবেদিন (কালা মিয়া) নামক এক ব্যক্তিকে হত্যা করা হয়। নিহত ব্যক্তি চট্টগ্রাম নগরীর হালিশহরে ফলের ব্যবসা করতেন। পরকীয়ার জেরে স্ত্রী রিমা আক্তার তার প্রেমিক শাহাদাত হোসেন কাইয়ুমের সহায়তায় স্বামী জয়নাল আবেদিনকে হত্যা করেন। এরপর তারা মরদেহ পুকুরে ফেলে দেন। পরদিন সকালে পুলিশ পুকুর থেকে মরদেহ উদ্ধার করে এবং সীতাকুণ্ড থানায় হত্যা মামলা দায়ের করা হয়।
গ্রেপ্তারের পর রিমা আক্তার ও শাহাদাত হোসেন কাইয়ুম আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন। পরে মামলার তদন্ত শেষে ২০২১ সালের ২৬ অক্টোবর আসামিদের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র জমা দেয় সীতাকুণ্ড থানা পুলিশ।

চট্টগ্রাম জেলা ও দায়রা জজ আদালতের অতিরিক্ত পিপি অ্যাডভোকেট আফসার উদ্দিন হেলাল বলেন, বিচারিক প্রক্রিয়ায় আদালতে ১১ জন সাক্ষ্য দিয়েছেন। আসামিদের বিরুদ্ধে অপরাধ প্রমাণিত হওয়ায় তাদের মৃত্যুদণ্ড দিয়েছে আদালত।



দৈনিক সাম্পান

Latest News

ক্যাটাগরি