Ads

প্রকৌশলী নুরুল হত্যা মামলায় মা ও দুই ভাই গ্রেপ্তার

প্রকৌশলী নুরুল হত্যা মামলায় মা ও দুই ভাই গ্রেপ্তার
ছবি সংগৃহীত।

 

 রাউজান  থানার  প্রকৌশলী  নুরুল  আলম  বকুল  হত্যা  মামলায়  মা    দুই  ভাইকে  গ্রেপ্তারকে  করেছে  ্যাব-৭।  

গ্রেপ্তাররা  হলেনরাউজান  থানার  এয়াছিন  নগর  এলাকার  মোনুরুল  ইসলাম  স্ত্রী  শহিদা  বেগম(৬০), তার  ছেলে  মোনাজিম  উদ্দিন(৩৫  মোদিদারুল  আলম(৩৩)

্যাব-  জানায়প্রকৌশলী  নুরুল  আলম  বকুল   নিজ  নামে  কেনা  জায়গা  নিয়ে  তার  অন্য  ভাইদের  সঙ্গে  বিরোধ  চলে  আসছিল।  বিরোধকে  কেন্দ্র  করে   আপন  ভাইদের  বিরুদ্ধে  আদালতে  একটি  মামলা  করেন।

পরবর্তীতে  মামলাকে  কেন্দ্র  করে  প্রকৌশলী  নুরুলকে  আপন  ভাই  মোনাজিম  উদ্দিন  এবং  পরিবারের  অন্যান্য  সদস্যরা  হত্যার  হুমকি  দিয়ে  আসছিলো।  গত  ৩১  এপ্রিল  পবিত্র  ঈদ-উল-ফিতর  উপলক্ষে  নুরুল  নিজ  বাড়ি  গেলে  বড়  ভাই  মোনাজিম  উদ্দিন  এবং  পরিবারের  অন্যান্য  সদস্যরা  পূর্বপরিকল্পিতভাবে  হত্যার  উদ্দেশ্যে  দেশীয়  ধারালো  অস্ত্রদাকোড়াল  এবং  লোহার  রড  দিয়ে  শরীরের  বিভিন্ন  স্থানে  কুপিয়ে    পিটিয়ে  রক্তাক্ত  এবং  মাথায়  গুরুত্বর  জখম  করে  ঘটনাস্থল  থেকে  পালিয়ে  যায়।  এসময়  নুরুলের  আত্মচিৎকারে  ছোটভাই  রাজু,তার  স্ত্রী  এবং  স্থানীয়  লোকজন  ঘটনাস্থল  থেকে  উদ্ধার  করে  চিকিৎসার  জন্য  চট্টগ্রাম  মেডিক্যাল  হাসপাতালে  নিয়ে  গেলে  কর্তব্যরত  চিকিৎসক  মৃত  ঘোষণা  করেন।  এই  ঘটনার  ছোট  ভাই  মোহাম্মদ  রাজু  আহাম্মদ  বাদী  হয়ে  রাউজান  থানায়    জনকে  আসামি  করে  একটি  মামলা  দায়ের  করেন।  

্যাব-  এর  সিনিয়র  সহকারী  পুলিশ  সুপার    আর  এম  মোজাফ্ফর  হোসেন  জানানপ্রকৌশলী  নুরুল  হত্যা  মামলায়  প্রধান  আসামি  মোনাজিম  উদ্দিন  হাটহাজারী  থানার  চৌধুরী  হাট  এলাকায়  অবস্থান  করছে।  গোপন  সংবাদের  ভিত্তিতে  সোমবার  বিকেল  পাঁচটার  দিকে  অভিযান  চালিয়ে  মোনাজিম  উদ্দিনকে  গ্রেপ্তার  করা  হয়।  পরবর্তীতে  নাজিমের  দেওয়া  তথ্যমতে  একই  থানার  বড়দিঘীরপাড়  বাজার  মোদিদারুল  আলমকে  গ্রেপ্তার  করা  হয়।  সন্ধ্যা  ছয়টার  দিকে  একই  থানার  লালিয়ারহাট  এলাকা  থেকে  শহিদা  বেগমকে  গ্রেপ্তার  করা  হয়েছে।  পরর্বতী  আইনানুগ  ব্যবস্থা  গ্রহণের  জন্য  রাউজান  থানা  পুলিশের  তাদের  হস্তান্তর  করা  হয়েছে।




Ads

দাউদকান্দিতে ‘২৩ মামলার আসামি’ আল-মামুনকে কুপিয়ে হত্যা

দাউদকান্দিতে ‘২৩ মামলার আসামি’ আল-মামুনকে কুপিয়ে হত্যা
ছবি সংগৃহীত।

কুমিল্লার দাউদকান্দিতে কুপিয়ে ও পিটিয়ে মো. আল-মামুন নামের এক যুবককে হত্যা করেছে দুর্বৃত্তরা। শুক্রবার রাত সাড়ে ১১টার দিকে ঢাকা -চট্টগ্রাম মহাসড়কের দাউদকান্দি উপজেলা সদরের অদুরে গৌরীপুর বাস স্টেশনে এ ঘটনা ঘটে।

রাত সাড়ে ১২টার দিকে ঘটনাস্থল থেকে মুঠোফোনে  বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন দাউদকান্দি মডেল থানার ওসি জুনায়েত চৌধুরী।


তিনি বলেন, ঘটনার খবর পেয়ে আমরা ঘটনাস্থলে এসে ওই ব্যক্তির রক্তাক্ত মরদেহ দেখতে পাই। দুর্বৃত্তরা কুপিয়ে তার মৃত্যু নিশ্চিত করে পালিয়ে যায়।

ওসি আরও বলেন, মামুনসহ আরও ৩ নারী রাতে কক্সবাজার যেতে ঢাকা থেকে বাসে ওঠেন। গৌরিপুর স্টেশনে বাসটি থামার পর পানি কিনতে মামুন গাড়ি থেকে নিচে নামার পর ৩/৪ জন দুর্বৃত্ত ধারালো অস্ত্র নিয়ে তার (আল মামুন) ওপর হামলা করে। এতে ঘটনাস্থলেই তার মৃত্যু হয়। তবে কারা এবং কেন এ ঘটনা ঘটিয়েছে তা তদন্তের পর বিস্তারিত বলা যাবে বলেও ওসি জানান।

নিহত আল-মামুন কুমিল্লার তিতাস উপজেলার শোলাকান্দি গ্রামের মোশাররফ হোসেন ওরফে মুকবুল মেম্বারের ছেলে। তার বিরুদ্ধে দাউদকান্দি ও তিতাসসহ বিভিন্ন থানায় হত্যা, মাদক, চাঁদাবাজিসহ ২৩ মামলা রয়েছে বলে পুলিশ জানিয়েছে।

এদিকে স্থানীয়রা জানান, মামুন গৌরিপুর এলাকায় মাদক ও চাঁদাবাজি নিয়ন্ত্রণ করকেন। এ ঘটনার জেরে এ হত্যাকাণ্ড হয়ে থাকতে পারে।

এর আগে গত ২৪ ফেব্রুয়ারি রাত ৪টায় উপজেলার গৌরিপুর মোড়ে পুলিশ ও সেনাবাহিনীর যৌথ চেক পোস্ট চলাকালীন আল-মামুনের কাছ থেকে ১৮০ পিস ইয়াবা ও ৩০ লিটার দেশীয় তৈরি মদসহ তাকে আটক হয়ে কারাগারে পাঠায় বলে জানিয়েছে দাউদকান্দি মডেল থানা পুলিশ। পরে সে জামিনে বের হয়।




Ads

ফজলে করিমকে আরও এক হত্যা মামলায় গ্রেপ্তার দেখানোর আদেশ

ফজলে করিমকে আরও এক হত্যা মামলায় গ্রেপ্তার দেখানোর আদেশ
ছবি সংগৃহীত।


ফজলে করিমকে আরও এক হত্যা মামলায় গ্রেপ্তার দেখানোর আদেশ
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে নিজাম উদ্দিন হত্যা মামলায় গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে রাউজানের সাবেক এমপি ফজলে করিম চৌধুরীকে।


মঙ্গলবার (১৫ জুলাই) চট্টগ্রাম মহানগর আদালত এই আদেশ দেন।

বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন চট্টগ্রাম মহানগর আদালতের সহকারী পাবলিক প্রসিকিউটর মো. রায়হানুল ওয়াজেদ চৌধুরী।  


এজাহার সূত্রে জানা গেছে, ২০২৪ সালের ৫ আগস্ট বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে হেফজখানায় পড়ুয়া ২১ বছর বয়সী নিজাম উদ্দিন হত্যার শিকার হয়। এই ঘটনার ১১ মাস পর গত ১ জুলাই নিজামের বাবা বাদী হয়ে কোতোয়ালি থানায় মামলা দায়ের করেন। ওই মামলার আসামি ছিলেন ফজলে করিম চৌধুরী।

নিজামের বাবা সাহাবউদ্দিনের করা মামলার এজাহারে অভিযোগ করা হয়েছে, গত বছরের ৫ আগস্ট নগরের লালদিঘীপাড়ে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের বিক্ষোভ কর্মসূচিতে অংশ নেন তার হেফজখানায় পড়ুয়া ২১ বছর বয়সী ছেলে নিজাম উদ্দিন। হাজার হাজার ছাত্র-জনতার অবস্থান ও বিক্ষোভ কর্মসূচিতে আওয়ামী লীগ, যুবলীগ, ছাত্রলীগ, স্বেচ্ছাসেবক লীগ ও শ্রমিক লীগের সন্ত্রাসীরা অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে গুলিবর্ষণ করে। এতে তার ছেলে গুলিবিদ্ধ হয়ে নিহত হন। ঘটনার বিস্তারিত অবগত হয়ে পরিবার ও চট্টগ্রামের বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়কদের সঙ্গে আলোচনা করে এজাহার দায়ের করতে দেরি হয়েছে বলেও উল্লেখ করেন তিনি।
গত বছরের ১২ সেপ্টেম্বর সকালে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়া সীমান্ত এলাকা থেকে এ বি এম ফজলে করিম চৌধুরীকে আটকের কথা জানায় বিজিবি। সেদিন বিজিবি জানায় ‘অবৈধভাবে ভারতে যাওয়ার চেষ্টার’ সময় তাকে আটক করা হয়।

আটকের পর ফজলে করিমকে আখাউড়া থানায় হস্তান্তর করে বিজিবি। সেখান থেকে তাকে পাঠানো হয় ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা কারাগারে। সবশেষ ১৯ সেপ্টেম্বর হেলিকপ্টার যোগে তাকে সেখান থেকে চট্টগ্রামে আনা হয়।

হত্যা, অপহরণ, মুক্তিপণ আদায়, হত্যাচেষ্টা, অস্ত্র দিয়ে ফাঁসানো, অস্ত্রের মুখে জমি লিখিয়ে নেওয়া, ভাঙচুর, দখল, রাউজানের গহিরার বাড়ি থেকে অস্ত্র উদ্ধারের ঘটনায় মামলাসহ বিভিন্ন অভিযোগে এখন পর্যন্ত ফজলে করিমের বিরুদ্ধে চট্টগ্রামের বিভিন্ন থানায় এক ডজনের বেশি মামলা হয়েছে বলে গণমাধ্যমে সংবাদ প্রকাশ হয়েছে।




Ads

রাঙ্গুনিয়ায় দিনমজুরকে প্রকাশ্যে গুলি করে খুন করেছে সন্ত্রাসীরা

রাঙ্গুনিয়ায় দিনমজুরকে প্রকাশ্যে গুলি করে খুন করেছে সন্ত্রাসীরা
ছবি সংগৃহীত।
রাঙ্গুনিয়ায় এক দিনমজুরকে প্রকাশ্যে গুলি করে খুন করেছে সন্ত্রাসীরা। উপজেলার পদুয়া ইউনিয়নের মোবারক আলী টিলা এলাকায় বৃহস্পতিবার (১০ জুলাই) বিকালে এই ঘটনা ঘটে। 
 
তার নাম মো. রাসেল (২৫)। সে ওই এলাকার মোহাম্মদ আলীর ছেলে। 
 
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, নিহত রাসেল এক বছর আগে প্রবাস থেকে এসেছিলেন। মোবারক আলী টিলা এলাকায় বৃহস্পতিবার বিকালে একদল সন্ত্রাসী তাকে প্রকাশ্যে একাধিক গুলি করে এবং কুপিয়ে হত্যা করে পাশের ধানি জমিতে ফেলে চলে যায়। 
 
ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে দক্ষিণ রাঙ্গুনিয়া থানার ওসি সাব্বির মোহাম্মদ সেলিম জানান, তার শরীরে একাধিক শর্টগানের গুলির চিহ্ন এবং একাধিক ধারালো অস্ত্রের সাহায্যে কুপিয়ে যখম করার চিহ্ন রয়েছে। তবে ঘটনাস্থলে আশেপাশে একাধিক দোকান থাকলেও এই ব্যাপারে কেউ মুখ খুলছে না। লাশটি উদ্ধার করা হয়েছে। ঘটনাটি অধিকতর তদন্ত করে এই ব্যাপারে প্রয়োজনীয় আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে জানান তিনি।
 


দৈনিক সাম্পান

Latest News

ক্যাটাগরি