রাঙ্গুনিয়ায় দিনমজুরকে প্রকাশ্যে গুলি করে খুন করেছে সন্ত্রাসীরা

কক্সবাজারের রামুতে ট্রেনের ধাক্কায় চালকসহ অটোরিকশার ৪ যাত্রী নিহত হয়েছেন। শনিবার (২ আগস্ট) দুপুরে উপজেলার রশিদ নগর এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্র জানায়, রামু থেকে উপজেলার ভারোয়াখালী যাওয়ার পথে রশিদনগর রেলক্রসিং পার হওয়ার সময় কক্সবাজার এক্সপ্রেস ট্রেনের ধাক্কায় সিএনজিচালিত অটোরিকশার চালকসহ চার যাত্রী নিহত হয়েছেন। নিহত চালকের নাম হাবিবুল্লাহ (৪২)।
রামু থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) তৈয়বুর রহমান জানান, দুর্ঘটনায় চারজন নিহত হয়েছেন। এদের মধ্যে দুজন নারী এ এক শিশু রয়েছে।
চট্টগ্রাম নগরীর কোতোয়ালি থানার রঙ্গম কনভেনশন হল ভবন থেকে পড়ে মারা গেছেন তিন শ্রমিক। পরিবারের কর্মক্ষম সদস্যদের হারিয়ে দিশেহারা হয়ে পড়েছেন স্বজনরা। এমনকি তাদের কেউ খোঁজ-খবর নেয়নি বলেও অভিযোগ করেন তারা।
নিহত রাশেদের মামা রোকন উদ্দিন অভিযোগ করে বলেন, ‘যারা মারা গেছে সবাই দরিদ্র পরিবারের। পেটের দায়ে কাজ করতে এসেছে। গরিব মানুষের জীবনের কোনো দাম নেই আসলে। মরলেও কেউ খোঁজ নেয় না।’
এর আগে গত শুক্রবার (১৮ জুলাই) দুপুরে এ দুর্ঘটনা ঘটে। নিহত তিনজনের বাড়ি নোয়াখালী জেলায়। কর্মসূত্রে তারা চট্টগ্রাম বসবাস করতেন।
‘গরিব মানুষের জীবনের দাম নেই, মরলেও কেউ খোঁজ নেয় না’
মরদেহ নিতে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে আসেন স্বজনরা। এসময় তাদের সঙ্গে কথা হয় জাগো নিউজের প্রতিবেদকের। এসময় নিহতদের স্বজনরা ভবনের মালিক ও কন্ট্রাক্টরের বিরুদ্ধে অভিযোগ করেন। তাদের দাবি, ভবনে কোনো নিরাপত্তা ছিল না। বিষয়টি বলার পরও তারা ব্যবস্থা নেয়নি।
নিহত হাসানের বোন আকলিমা বেগম বলেন, ‘আমার ভাই ওদের এখানে কয়েক মাস ধরে কাজ করছিল। তাদের কাজ করার মাচা নড়বড়ে ছিল। সেটা তাদের জানালেও তারা কোনো ব্যবস্থা নেয়নি। এমনকি তাদের কয়েক দিনের বেতন বাকি ছিল। টাকা চাইলে বলা হয়, কাজ না করলে টাকা দেবে না। ফলে নিরুপায় হয়ে তারা কাজে যায় এবং দুর্ঘটনা ঘটে। আমার ভাই হত্যার বিচার চাই। তারা নিরাপত্তা ব্যবস্থা ঠিকমতো রাখলে এমনটি ঘটতো না।’
নিহত ফখরুলের প্রতিবেশী এনায়েত বলেন, ‘তিনজন মানুষ মারা গেলো অথচ কর্তৃপক্ষ কোনো খবরও রাখেনি। এমনকি আমরা যোগাযোগ করার চেষ্টা করেছি, কিন্তু তারা কোনো সাড়া দেয়নি।’
অভিযোগ করে নিহত রাশেদের মামা রোকন উদ্দিন বলেন, ‘আমরা খবর পাই দুপুর ১২টার দিকে। খবর পেয়ে মেডিকেলে চলে আসি। রাত পর্যন্ত ভবনের মালিক পক্ষ, ডেভেলপার বা কেউ খবর নেয়নি।’
চট্টগ্রামের আনোয়ারা উপজেলার রায়পুর এলাকা থেকে এক লাখ পিস ইয়াবাসহ মনোয়ারা বেগম (৪৩) নামে এক নারীকে আটক করেছে র্যাব।
বৃহস্পতিবার (১৭ জুলাই) রাতে উপজেলার দক্ষিণ পরুয়াপাড়ার আনোয়ার মাঝির বাড়িতে এ অভিযান পরিচালনা করা হয়।
উদ্ধার হওয়া মাদকের আনুমানিক মূল্য প্রায় ৩ কোটি টাকা।
র্যাব জানায়, রায়পুরের দক্ষিণ পরুয়াপাড়া এলাকার একটি বসতঘরে বিপুল পরিমাণ ইয়াবা মজুতের তথ্য পেয়ে এ অভিযান পরিচালনা করা হয়েছে। এসময় মনোয়ারার তথ্যমতে ঘরের বারান্দায় খাটের নিচে রাখা ব্যাগ থেকে বিশেষভাবে ১০টি প্যাকেট উদ্ধার করা হয়। প্যাকেটগুলোতে মোট ১ লাখ পিস ইয়াবা পাওয়া যায়।
চট্টগ্রাম র্যাবের সিনিয়র সহকারী পরিচালক এম. আর. এম মোজাফ্ফর হোসেন বলেন, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে আটক মনোয়ারা জানান, তিনি ও তার পরিবারের সদস্যরা দীর্ঘদিন ধরে কক্সবাজার জেলার মায়ানমার সীমান্তবর্তী এলাকা থেকে ইয়াবা সংগ্রহ করে। পরবর্তীতে এগুলো চট্টগ্রামসহ দেশের বিভিন্ন এলাকায় পাইকারি ও খুচরা দরে বিক্রি করা হয়। আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য উদ্ধার হওয়া ইয়াবাসহ তাকে আনোয়ারা থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।
Latest News