Ads

সুষ্ঠু ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচনের মাধ্যমেই দেশ সঠিক পথে অগ্রসর হবে: মির্জা ফখরুল

সুষ্ঠু ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচনের মাধ্যমেই দেশ সঠিক পথে অগ্রসর হবে: মির্জা ফখরুল
ছবি সংগৃহীত।

সিলেট ব্যুরো


একটি সুষ্ঠু ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচনের মাধ্যমেই দেশ সঠিক পথে অগ্রসর হবে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। তিনি বলেছেন, ‘আমাদের প্রত্যাশা—অন্তবর্তীকালীন সরকার আগামী বছরের ফেব্রুয়ারিতেই নির্বাচন আয়োজন করবে। একটি সুষ্ঠু ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচনের মাধ্যমেই দেশ সঠিক পথে অগ্রসর হবে।’

সোমবার সকাল সাড়ে ১০টার দিকে সিলেটে হযরত শাহজালাল (রহ.) ও হযরত শাহপরান (রহ.)-এর মাজার জিয়ারত শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এ কথা বলেন তিনি।

এর আগে সকাল ৯টা ২৫ মিনিটে একটি ফ্লাইটে বিএনপি মহাসচিব সিলেট ওসমানী আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে এসে পৌঁছান। সেখানে তাকে অভ্যর্থনা জানান সিলেট বিএনপি নেতৃবৃন্দ।

এদিকে বিএনপির মহাসচিব দুপুরে নগরীর পাঠানটুলা এলাকার সানরাইজ কমিউনিটি সেন্টারে খালেদা জিয়ার রোগমুক্তি কামনায় দোয়া মাহফিলে ও বিকেলে বিশেষ স্মরণ ও সম্মাননা অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেবেন।

বিএনপি মহাসচিবের সঙ্গে রয়েছেন দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস, ডা. এ জেড এম জাহিদ হোসেন, ইকবাল মাহমুদ টুকু, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা হাবিবুর রহমান হাবিব ও ঢাকা জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট নিপুণ রায় চৌধুরী প্রমুখ।




Ads

জাতিসংঘের মানবাধিকার অফিস নিয়ে কঠোর কর্মসূচি ঘোষণার হুঁশিয়ারি হেফাজতের

জাতিসংঘের মানবাধিকার অফিস নিয়ে কঠোর কর্মসূচি ঘোষণার হুঁশিয়ারি হেফাজতের
ছবি সংগৃহীত।


অন্তর্বর্তীসরকার ঢাকায় জাতিসংঘের মানবাধিকার কমিশনের অফিস স্থাপন চুক্তিতে সই করায় তীব্র প্রতিবাদ জানিয়ে হেফাজতে ইসলামের আমির মুহিব্বুল্লাহ বাবুনগরী ও মহাসচিব সাজেদুর রহমান।

 


শনিবার (১৯ জুলাই) গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে তারা অবিলম্বে চুক্তি বাতিল না করলে কঠোর কর্মসূচি দেওয়ার হুঁশিয়ারি দিয়েছেন।

বিবৃতিতে হেফাজত নেতারা বলেন, নাগরিকদের মতামত ও উদ্বেগ উপেক্ষা করে কোনো স্পর্শকাতর ইস্যুতে এককভাবে সিদ্ধান্ত নিতে পারে না সরকার। অবিলম্বে এ চুক্তি বাতিল না করলে কঠোর কর্মসূচি দিতে বাধ্য হবো। মার্কিন স্বার্থে তাঁবেদার জাতিসংঘের মানবাধিকার অফিস এদেশে হতে দেওয়া যায় না। এটা এদেশের ওলামায়ে কেরামের নীতিগত সিদ্ধান্ত।


তারা আরও বলেন, জাতিসংঘের মানবাধিকার অফিস সাধারণত যুদ্ধবিধ্বস্ত দেশগুলোতেই দেখা যায়। সেই অফিস এখন আমাদের দেশে হওয়াটা সম্মানজনক নয়। বাংলাদেশ কোনো যুদ্ধপীড়িত দেশ না হওয়া সত্ত্বেও এখানে তাদের অফিস করতে চাওয়াটা রহস্যজনক। এছাড়া জুলাই বিপ্লবের দাবিগুলো বাস্তবায়িত হলে জাতিসংঘের মানবাধিকার কমিশনের অফিস এদেশে কোনো দরকার নেই। অন্তর্বর্তী সরকারের উচিত সময় নষ্ট না করে জুলাই বিপ্লবের দাবিগুলো দ্রুত বাস্তবায়ন করা।

হেফাজত নেতারা বলেন, অতীতে বিভিন্ন দেশি-বিদেশি সংস্থা বাংলাদেশের মুসলিম পারিবারিক আইন, ইসলামী শরিয়াহ ও ধর্মীয় মূল্যবোধের ওপর হস্তক্ষেপের চেষ্টা করেছে। নারী সংস্কার কমিশনের প্রতিবেদনেও একই চিত্র দেখা গেছে। এছাড়া সমকামী তথা এলজিবিটি ইস্যুটি জাতিসংঘের মানবাধিকার কমিশনের মানবাধিকার দর্শন ও নীতিমালার অন্তর্ভুক্ত। সম্প্রতি বাংলাদেশের ধর্মীয়-সামাজিক মূল্যবোধ অবজ্ঞা করে একজন সমকামী ব্যক্তিকে বাংলাদেশে জাতিসংঘের নতুন দূত নিয়োগ দেওয়ার সংবাদ গণমাধ্যমে এসেছে। আমাদের দেশে নারী ইস্যুর আড়ালে অভিশপ্ত এলজিবিটি সম্প্রদায় প্রকাশ্যে নানা অপতৎপরতা শুরু করেছে।


‘পার্বত্য চট্টগ্রাম ঘিরে দেশি-বিদেশি ষড়যন্ত্র আরো বিস্তৃত হচ্ছে। এমতাবস্থায় এদেশে জাতিসংঘের মানবাধিকার কমিশনের অফিস খোলার পরিণতি আমাদের কাছে পরিষ্কার। দৃশ্যত আমাদের দেশের সার্বভৌমত্ব এবং ধর্মীয়-সামাজিক মূল্যবোধ রক্ষার দায় বোধ করছে না অন্তর্বর্তী সরকার। তাই বলে আমরা ওলামায়ে কেরাম চুপ করে বসে থাকতে পারি না।’

তারা আরও বলেন, ‘২০১৩ সালের ৫ মে মতিঝিল শাপলা চত্বরে নিরীহ আলেম-ওলামা ও ধর্মপ্রাণ মানুষের গণজমায়েতের ওপর সংঘটিত বর্বর গণহত্যা নিয়ে জাতিসংঘের মানবাধিকার কমিশন আজ পর্যন্ত কোনো বিবৃতি দেয়নি। তাছাড়া ফ্যাসিস্ট হাসিনার কথিত জঙ্গি-নাটকসংশ্লিষ্ট মানবাধিকার লঙ্ঘন নিয়ে কখনো তারা অফিশিয়ালি উদ্বেগ প্রকাশ করেনি। আমেরিকা ও ভারত সুযোগ করে না দিলে এদেশে রাষ্ট্র কর্তৃক কখনো কথিত জঙ্গিবাদ দমনের নামে আলেম-ওলামা ও ইসলামপন্থিদের ওপর মানবাধিকার লঙ্ঘন ঘটতে পারত না। এক্ষেত্রে জাতিসংঘের মানবাধিকার কমিশনের অফিস থাকা না-থাকায় কিছু যায় আসে না। ফিলিস্তিনে গত ৩০ বছর ধরে জাতিসংঘের মানবাধিকার অফিস থেকেও কোনো লাভ হয়নি। ফলে বাংলাদেশকে আমরা নতুন যুদ্ধক্ষেত্র বানানোর ষড়যন্ত্র বাস্তবায়ন হতে দেবো না, ইনশাআল্লাহ’।         




Ads

নতুন করে কোনো গডফাদারের আবির্ভাব হতে দেব না : নাহিদ ইসলাম

নতুন করে কোনো গডফাদারের আবির্ভাব হতে দেব না : নাহিদ ইসলাম
ছবি সংগৃহীত।


জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম বলেছেন, শেখ হাসিনা একটা গডফাদার ছিল। তার আন্ডারে ছোট ছোট গডফাদার বাংলাদেশজুড়ে ছিল। আমরা সেই গডফাদারতন্ত্রের অবসান ঘটিয়েছি। আমরা নতুন করে কোনো গডফাদারের আবির্ভাব হতে দেব না। মাফিয়াতন্ত্র, গডফাদারতন্ত্র, পরিবারতন্ত্র, স্বৈরতন্ত্র সবকিছুকে বাংলাদেশ থেকে উচ্ছেদ করতে হবে। জনগণের বাংলাদেশ, জনগণতান্ত্রিক বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠা করতে  হবে।  


শনিবার (১৯ জুলাই) দুপুরে কক্সবাজার শহরের পাবলিক লাইব্রেরি চত্বরে শহীদ দৌলত ময়দানে আয়োজিত এনসিপির পথসভায় এসব কথা বলেন তিনি। ‘দেশ গড়তে জুলাই পদযাত্রা’র অংশ হিসেবে কক্সবাজারে এ পথসভা অনুষ্ঠিত হয়

নাহিদ ইসলাম বলেন, জাতীয় নাগরিক পার্টি ঘোষণা দিয়েছিল হিমালয় থেকে বঙ্গোপসাগর হবে বাংলাদেশের, বাংলাদেশের জনগণের। বঙ্গোপসাগর থেকে যে সভ্যতা তৈরি  হয়েছিল আমরা সেই সভ্যতার উত্তরাধিকারী। সমুদ্রের সঙ্গে লড়াই করে আপনাদের জীবন চলে আমরা জানি। সংগ্রাম এবং সাহসিকতার অপর নাম কক্সবাজার।


তিনি বলেন, পর্যটনশিল্পের জন্য কক্সবাজার বিখ্যাত। কিন্তু আমরা এই পর্যটন শিল্পের যথাযথ মর্যাদা দিতে পারিনি। কক্সবাজারের মানুষকে সাথে নিয়ে পর্যটনশিল্প গড়ে তুলতে পারিনি। পর্যটন শিল্পের নামে এখানে লুটপাট হচ্ছে, হয়েছে। আমরা চাই পরিবেশবান্ধব কক্সবাজার গড়ে উঠুক। যেখানে কক্সবাজারের মানুষের অধিকার নিশ্চিত হবে।  


তিনি আরও বলেন, দীর্ঘদিন ধরে বাংলাদেশে একটি সমস্যা হলো রোহিঙ্গা সংকট। রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীর প্রতি আমাদের দরদ রয়েছে। তাদেরকে অধিকারহীন, রাষ্ট্রহীন করে রাখা হয়েছে। কিন্তু তার সমাধান এটা না যে, বছর পর বছর বাংলাদেশ তাদের দায়িত্ব নেবে। রোহিঙ্গাদের দায়িত্ব নিতে গিয়ে আমরা কক্সবাজারের মানুষের প্রতি বেইনসাফি করছি, সেদিকেও আমাদের খেয়াল রাখতে হবে। কক্সবাজারের মানুষের যাতে নিরাপত্তা, আইনশৃঙ্খলার বিঘ্ন না ঘটে এসব কিছু বিবেচনায় রোহিঙ্গাদের প্রত্যাবর্তনের জন্য অতি দ্রুত আমাদের ব্যবস্থা নিতে হবে।

অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের দৃষ্টি আকর্ষণ করে নাহিদ বলেন, ড. ইউনূসের প্রতি আহ্বান জানাবো এবং পুরো বিশ্ব বিবেকের প্রতি আহ্বান জানাবো, আপনারা রোহিঙ্গা ইস্যু দ্রুত সমাধান করুন। রোহিঙ্গাদের তাদের দেশে সম্মানের এবং অধিকারের সহিত পোঁছানোর ব্যবস্থা করুন।

এ সময় এনসিপির সিনিয়র যুগ্ম সদস্য সচিব ডা. তাসনিম জারা, মুখ্য সমন্বয়ক নাসীরউদ্দীন পাটওয়ারী, দক্ষিণাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক হাসনাত আবদুল্লাহ প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।




Ads

চাঁদাবাজের কবল থেকে রক্ষার আহ্বান জানাল বিএনপি

চাঁদাবাজের কবল থেকে রক্ষার আহ্বান জানাল বিএনপি
ছবি সংগৃহীত।


চট্টগ্রাম শহরের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির উন্নতি এবং নিরপরাধ ব্যবসায়ীদের মিথ্যা মামলা ও চাঁদাবাজির কবল থেকে রক্ষার জন্য জোর আহ্বান জানিয়েছে বিএনপি।

শুক্রবার (১৮ জুলাই) বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব অ্যাডভোকেট রুহুল কবির রিজভীর সই করা এক বিবৃতিতে জানানো হয়, রাজধানীর পর চট্টগ্রাম দেশের দ্বিতীয় গুরুত্বপূর্ণ শহর। সারা দেশের ব্যবসা বাণিজ্য পরিচালিত হয় চট্টগ্রাম থেকেই। ব্যবসা বাণিজ্যের উন্নতি এবং দেশের আর্থিক খাতকে শীর্ষস্থানে নিয়ে যেতে হলে এই শহরটিতে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির উন্নয়ন অপরিহার্য।

কিন্তু দুর্ভাগ্যজনক হলেও সত্য যে, বর্তমানে চট্টগ্রাম শহরে ব্যবসায়ীসহ সাধারণ মানুষের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানি এবং চাঁদাবাজির দৌরাত্ম্যে শহরটিতে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির নাজুক অবস্থা বিরাজ করছে। এ ধরনের পরিস্থিতি ব্যবসা-বাণিজ্য কার্যক্রমে নেতিবাচক প্রভাব ফেলছে। এই পরিস্থিতি চলমান থাকলে দেশের ব্যবসা বাণিজ্য তথা অর্থনীতি স্থবির হয়ে পড়বে


বিবৃতিতে উল্লেখ করা হয়, বিএনপি সর্বস্তরের ব্যবসায়ী মহল ও জনগণকে এ বিষয়ে এক সঙ্গে দুষ্কৃতিকারীদের প্রতিহত করার আহ্বান জানায়। বিএনপি চট্টগ্রাম শহরে চাঁদাবাজি, মিথ্যা মামলা দিয়ে সাধারণ মানুষকে নাজেহাল ও অবনতিশীল আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতিতে চরম উদ্বেগ প্রকাশ করছে এবং এই সমস্ত অনাচারের বিরুদ্ধে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণে স্থানীয় প্রশাসনকে আহ্বান জানাচ্ছে।



দৈনিক সাম্পান

Latest News

ক্যাটাগরি