Ads

অধিকার আদায়ে বিক্ষোভ সমাবেশ চবি শিক্ষার্থীদের

অধিকার আদায়ে বিক্ষোভ সমাবেশ চবি শিক্ষার্থীদের
ছবি সংগৃহীত।

চট্টগ্রাম   বিশ্ববিদ্যালয়ে ( চবি )  নানাবিধ   সমস্যার   সংকট   নিরসনে   এবার   বিক্ষোভ   সমাবেশ   ও   মানববন্ধন   করেছে   শিক্ষার্থীরা।   এসময়   শিক্ষার্থীরা   শাটল   ট্রেনের   শিডিউল   বিপর্যয় ,  আবাসন   সংকট ,  নিম্নমানের   খাবার   ও   দীর্ঘদিন   ধরে   ছাত্র   সংসদ   নির্বাচন   না   হওয়ার   বিষয়গুলো   তুলে   ধরেন   এবং   প্রশাসনের   নীরবতায়   ক্ষোভ   প্রকাশ   করেন।   সমস্যার   সমাধান   না   করা   হলে   কঠোর   আন্দোলনের   হুঁশিয়ারী   দেন   শিক্ষার্থীরা।

মঙ্গলবা ( ৮   জুলাই )  দুপুর   ১২   টায়   বিশ্ববিদ্যালয়ের   শহীদ   মিনার   চত্বরে   এই   মানবন্ধন   ও   বিক্ষোভ   সমাবেশ   করে।   সমাবেশে   বিভিন্ন   বিভাগের   শিক্ষার্থীরা   অংশগ্রহণ   করে।এ   সময়ে   শিক্ষার্থীরা “ জেগেছে   রে   জেগেছে ,  ছাত্র   সমাজ   জেগেছে ! ”“ তুমি   কে   আমি   কে ?  অবহেলিত ,  অবহেলিত !” “ আবাসন   আমার   অধিকার ,  রুখে   দেওয়া   সাধ্য   কার !” “ চাকসু   আমার   অধিকার ,  রুখে   দেওয়া   সাধ্য   কার !”  ইত্যাদি   স্লোগানে   মুখর   করে   তোলে   বিক্ষোভ   সমাবেশ   ।  

শিক্ষার্থীরা   বলেন ,  প্রশাসনের   উচিত ‘ মেধা ’   ভিত্তিক   আবাসনের   পাশাপাশি   গরীব   ও   অসচ্ছল   শিক্ষার্থীদের   অধিকার   রক্ষায়   ব্যবস্থা   নেওয়া।   শাটল   ট্রেনের   সময়সূচি   বৃদ্ধি   ও   সুষ্ঠু   পরিচালনা ,  এবং   ভর্তুকিসহ   উন্নত   মানের   খাবার   নিশ্চিত   না   করা   পর্যন্ত   করা   তারা   আন্দোলন   চালিয়ে   যাওয়ার   ঘোষণা   দেন।   প্রয়োজনে   আরো   কঠোর   আন্দোলনের   হুশিয়ারি   দেন।  

শিক্ষার্থীদের   প্রধান   দাবিসমূহ   হলো :  শাটল   ট্রেনের   শিডিউল   বিপর্যয়   ও   অব্যবস্থাপনার   নিরসন।শতভাগ   আবাসন   ব্যবস্থা   নিশ্চিতকরণ   অথবা   বাসস্থান   ভাতা   প্রদান।   ক্যাম্পাসে   খাবারের   মান   উন্নতকরণ   ও   সবার   জন্য   সহজলভ্যতা   নিশ্চিত   করা।   দ্রুত   সময়ের   মধ্যে   ছাত্র   সংসদ ( চাকসু )  নির্বাচন   আয়োজন।

চারুকলা   বিভাগের   শিক্ষার্থী   জাকির   হোসেন   বলেন , “ মেধা   নামে   কিভাবে   সিট   বরাদ্দ   দেওয়া   হয় ,  তা   আমাদের   জানা   নেই।   আমাদের   অনেক   গরীব ,  অসচ্ছল   ভাইয়েরা   দুইবেলা   খাবার   জোগাড়   করতেই   হিমশিম   খাচ্ছে ,  অথচ   তারাও   হলে   সিট   পাচ্ছে   না।   প্রশাসন   শুরুতে   বলেছিল ,  প্রয়োজনে   ডাবল   বেড   দিয়ে   হলেও   শতভাগ   আবাসন   নিশ্চিত   করবে ,  কিন্তু   এখন   অনেক   হলে   পর্যাপ্ত   বেডই   নেই। ”

রাজনীতি   বিজ্ঞান   বিভাগের   শিক্ষার্থী   পলাশ   বলেন , “ শিক্ষার্থীদের   মৌলিক   অধিকারগুলো   প্রশাসন   নিশ্চিত   করতে   ব্যর্থ   হয়েছে।   আবাসন   সংকট ,  খাবারের   মান   ও   শাটল   ট্রেনের   শিডিউল   সমস্যা — কোনো   কিছুতেই   সমাধান   আসছে   না।   বর্তমানে   অনেক   হলে   মিল   সিস্টেম   চালু   হওয়ায়   যারা   আশপাশে   বা   কটেজে   থাকছেন ,  তাদের   জন্য   নিয়মিত   খাবার   জোগাড়   করাও   কঠিন   হয়ে   পরছে।




Ads

কোটি টাকা লুটপাটের অভিযোগ রেঞ্জ কর্মকর্তা তৌহিদুরের বিরুদ্ধে

কোটি টাকা লুটপাটের অভিযোগ রেঞ্জ কর্মকর্তা তৌহিদুরের বিরুদ্ধে
ছবি সংগৃহীত।

চট্টগ্রাম উত্তর বন বিভাগের ইছামতি রেঞ্জে গাছ পাচার, বনভূমি বেচাকেনা এবং সরকারি প্রকল্পের অর্থ আত্মসাৎকে কেন্দ্র করে এক গভীর দুর্নীতির চিত্র উঠে এসেছে। এসব অনিয়মের কেন্দ্রবিন্দুতে রয়েছেন রেঞ্জ কর্মকর্তা মো. তৌহিদুর রহমান। তার বিরুদ্ধে দায়িত্বে অবহেলা, অবৈধ কাঠ পাচারে সংশ্লিষ্টতা এবং প্রকল্পের অর্থ লুটপাটের অভিযোগ ক্রমেই স্পষ্ট হচ্ছে। দায়িত্ব গ্রহণের পর থেকে পুরো রেঞ্জজুড়ে যেন দুর্নীতির মহোৎসব শুরু হয়েছে।

২০২৪-২৫ অর্থবছরে সুফল প্রকল্প, বাগান রক্ষণাবেক্ষণ, অবকাঠামো উন্নয়নসহ একাধিক উন্নয়ন প্রকল্পে প্রায় ১ কোটি টাকা বরাদ্দ দেওয়া হয়। কিন্তু অভিযোগ রয়েছে, এই অর্থের একটি বড় অংশ সরাসরি আত্মসাৎ করা হয়েছে। রেঞ্জ কর্মকর্তা মো. তৌহিদুর রহমান নাকি উর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের ৩১ শতাংশ ঘুষ দেওয়ার নাম করে বরাদ্দের বড় অংশ নিজের পকেটে পুরে ফেলেছেন। প্রকল্প বাস্তবায়নের নামে মাঠপর্যায়ে কোনও দৃশ্যমান কাজ না করেই বিল উত্তোলন করা হয়েছে। এমনকি কর্মরত মাঠকর্মীদের ন্যায্য পাওনাও বঞ্চিত করা হয়েছে, অভিযোগ উঠেছে যে তাদের স্বাক্ষর জাল করে অর্থ উত্তোলন দেখানো হয়েছে।

সুফল প্রকল্পের অধীনে পূর্বে সৃজিত এক হাজার হেক্টর বাগান রক্ষণাবেক্ষণ এবং নতুন ১০০ হেক্টর বাগান সৃজনের কথা থাকলেও বাস্তবে এই কাজগুলো কোথাও দৃশ্যমান নয়। বিভিন্ন এলাকায় পুরনো বাগানগুলো একেবারে নষ্ট হয়ে গেছে। অথচ হিসাবপত্রে দেখানো হয়েছে কাজ সম্পন্ন হয়েছে এবং খরচ হয়েছে পুরো বরাদ্দ। স্থানীয়রা বলছেন, এসব প্রকল্প শুধু কাগজে আছে, বাস্তবে নয়। বিষয়টি তদন্ত করলে একের পর এক জালিয়াতির প্রমাণ মিলবে।

রেঞ্জ কর্মকর্তা এই দুর্নীতিগুলো বাস্তবায়ন করতে গিয়ে ভেতরের কোনো স্টাফ প্রতিবাদ করলে তাদের নানা হয়রানির মুখে পড়তে হয়। বদলি, বেতন কর্তন কিংবা শাস্তিমূলক নোটিশের ভয় দেখিয়ে কর্মীদের মুখ বন্ধ করে রাখা হচ্ছে। একাধিক ফরেস্ট গার্ড অভিযোগ করেছেন, তারা প্রতিবাদ করায় হুমকি ও মানসিক চাপের শিকার হয়েছেন। এতে রেঞ্জে এক ধরনের আতঙ্কের পরিবেশ বিরাজ করছে। কেউ কিছু বললেও গোপনে, প্রকাশ্যে নয়।

এই পরিস্থিতিতে বন বিভাগের ভেতরের কোনো স্বচ্ছতা বা জবাবদিহি কার্যত নেই বললেই চলে। রাজনৈতিক প্রভাব ও ভেতরের শক্তিশালী চক্র এই দুর্নীতির সংস্কৃতি চালিয়ে যাচ্ছে বলে অভিযোগ উঠেছে। এলাকাবাসী এবং পরিবেশবাদী সংগঠনগুলো বলছে, শুধু রেঞ্জ কর্মকর্তা নয়, পুরো কাঠামোর মধ্যে যে ধ্বংসাত্মক দুর্নীতির চর্চা গড়ে উঠেছে তা দেশের পরিবেশ ও প্রাকৃতিক সম্পদের জন্য মারাত্মক হুমকি। তারা বলছে, সরকারি প্রকল্পের টাকা আত্মসাৎ মানে শুধুই অর্থ লোপাট নয়, এটি জনগণের ভবিষ্যতের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র।

এই দুর্নীতির বিরুদ্ধে এখনই স্বচ্ছ, স্বাধীন এবং উচ্চপর্যায়ের তদন্ত কমিটি গঠন করা জরুরি। প্রকৃত ঘটনা বেরিয়ে আসা দরকার। জনগণের অর্থ এবং সম্পদের এই লুটপাট বন্ধ করতে হলে প্রয়োজন কঠোর ব্যবস্থা ও জবাবদিহিতার নিশ্চয়তা। অন্যথায় এই রেঞ্জের মতো আরও অনেক জায়গায় দুর্নীতির বিষবৃক্ষ আরও গভীরে শিকড় গেড়ে বসবে, যার প্রভাব পড়বে আমাদের জীববৈচিত্র্য ও জলবায়ু সহনশীল ভবিষ্যতের ওপর।

এ বিষয়ে রেঞ্জ কর্মকর্তা মো. তৌহিদুর রহমান অবশ্য সব অভিযোগ অস্বীকার করেছেন। তিনি দৈনিক সাঙ্গুকে বলেন, বন রক্ষণাবেক্ষণ ও সৃজনে তার নামে যা বরাদ্দ ছিল, তা সম্পূর্ণ নিয়ম মেনেই খরচ করা হয়েছে। কাঠ পাচারে তার সহযোগিতার অভিযোগ ‘অসম্ভব’ বলে দাবি করে তিনি বলেন, বরং তিনিই কাঠ পাচার পুরোপুরি বন্ধ করেছেন।

তবে বাস্তব চিত্র বলছে ভিন্ন কথা। মাঠ পর্যায়ের লোকজন ও স্থানীয়দের অভিজ্ঞতা থেকে দেখা যায়, প্রকল্পের অর্থ নয়ছয়ের পাশাপাশি পরিবেশ রক্ষা দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তাদের হাতে মারাত্মকভাবে উপেক্ষিত হচ্ছে। যা শুধু একটি রেঞ্জ নয়, গোটা বন বিভাগের ভাবমূর্তিকেই প্রশ্নবিদ্ধ করছে।


 




Ads

রামুতে ট্রেনের ধাক্কায় অটোরিকশাচালকসহ নিহত ৪

রামুতে ট্রেনের ধাক্কায় অটোরিকশাচালকসহ নিহত ৪
ছবি সংগৃহীত।


কক্সবাজারের রামুতে ট্রেনের ধাক্কায় চালকসহ অটোরিকশার ৪ যাত্রী নিহত হয়েছেন। শনিবার (২ আগস্ট) দুপুরে উপজেলার রশিদ নগর এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে।

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্র জানায়, রামু থেকে উপজেলার ভারোয়াখালী যাওয়ার পথে রশিদনগর রেলক্রসিং পার হওয়ার সময় কক্সবাজার এক্সপ্রেস ট্রেনের ধাক্কায় সিএনজিচালিত অটোরিকশার চালকসহ চার যাত্রী নিহত হয়েছেন। নিহত চালকের নাম হাবিবুল্লাহ (৪২)।


রামু থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) তৈয়বুর রহমান জানান, দুর্ঘটনায় চারজন নিহত হয়েছেন। এদের মধ্যে দুজন নারী এ এক শিশু রয়েছে।




Ads

‘গরিব মানুষের জীবনের দাম নেই, মরলেও কেউ খোঁজ নেয় না’

‘গরিব মানুষের জীবনের দাম নেই, মরলেও কেউ খোঁজ নেয় না’
ছবি সংগৃহীত।


চট্টগ্রাম নগরীর কোতোয়ালি থানার রঙ্গম কনভেনশন হল ভবন থেকে পড়ে মারা গেছেন তিন শ্রমিক। পরিবারের কর্মক্ষম সদস্যদের হারিয়ে দিশেহারা হয়ে পড়েছেন স্বজনরা। এমনকি তাদের কেউ খোঁজ-খবর নেয়নি বলেও অভিযোগ করেন তারা।

নিহত রাশেদের মামা রোকন উদ্দিন অভিযোগ করে বলেন, ‘যারা মারা গেছে সবাই দরিদ্র পরিবারের। পেটের দায়ে কাজ করতে এসেছে। গরিব মানুষের জীবনের কোনো দাম নেই আসলে। মরলেও কেউ খোঁজ নেয় না।’


এর আগে গত শুক্রবার (১৮ জুলাই) দুপুরে এ দুর্ঘটনা ঘটে। নিহত তিনজনের বাড়ি নোয়াখালী জেলায়। কর্মসূত্রে তারা চট্টগ্রাম বসবাস করতেন।

‘গরিব মানুষের জীবনের দাম নেই, মরলেও কেউ খোঁজ নেয় না’


মরদেহ নিতে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে আসেন স্বজনরা। এসময় তাদের সঙ্গে কথা হয় জাগো নিউজের প্রতিবেদকের। এসময় নিহতদের স্বজনরা ভবনের মালিক ও কন্ট্রাক্টরের বিরুদ্ধে অভিযোগ করেন। তাদের দাবি, ভবনে কোনো নিরাপত্তা ছিল না। বিষয়টি বলার পরও তারা ব্যবস্থা নেয়নি।


নিহত হাসানের বোন আকলিমা বেগম বলেন, ‘আমার ভাই ওদের এখানে কয়েক মাস ধরে কাজ করছিল। তাদের কাজ করার মাচা নড়বড়ে ছিল। সেটা তাদের জানালেও তারা কোনো ব্যবস্থা নেয়নি। এমনকি তাদের কয়েক দিনের বেতন বাকি ছিল। টাকা চাইলে বলা হয়, কাজ না করলে টাকা দেবে না। ফলে নিরুপায় হয়ে তারা কাজে যায় এবং দুর্ঘটনা ঘটে। আমার ভাই হত্যার বিচার চাই। তারা নিরাপত্তা ব্যবস্থা ঠিকমতো রাখলে এমনটি ঘটতো না।’

নিহত ফখরুলের প্রতিবেশী এনায়েত বলেন, ‘তিনজন মানুষ মারা গেলো অথচ কর্তৃপক্ষ কোনো খবরও রাখেনি। এমনকি আমরা যোগাযোগ করার চেষ্টা করেছি, কিন্তু তারা কোনো সাড়া দেয়নি।’


অভিযোগ করে নিহত রাশেদের মামা রোকন উদ্দিন বলেন, ‘আমরা খবর পাই দুপুর ১২টার দিকে। খবর পেয়ে মেডিকেলে চলে আসি। রাত পর্যন্ত ভবনের মালিক পক্ষ, ডেভেলপার বা কেউ খবর নেয়নি।’



দৈনিক সাম্পান

Latest News

ক্যাটাগরি