Ads

কর্ণফুলীতে রাস্তায় মিলল অজ্ঞাত যুবকের লাশ

কর্ণফুলীতে রাস্তায় মিলল অজ্ঞাত যুবকের লাশ
ছবি সংগৃহীত।

চট্টগ্রামের কর্ণফুলী উপজেলার চরলক্ষ্যায় রাস্তা থেকে অজ্ঞাত এক যুবকের লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ।

বুধবার (০৯ জুলাই) দুপুরে উপজেলার চরলক্ষ্যা ৬ নম্বর ওয়ার্ডের গোয়ালপাড়া এলাকার সোবহান সওদাগরের বাড়ির পাশে একটি রাস্তা থেকে লাশটি উদ্ধার করা হয়।

এ রিপোর্টি লেখা পর্যন্ত নিহত যুবকের   পরিচয় পাওয়া যায়নি। ২৮-৩০ বছর বয়সী ওই যুবকের পরনে শার্ট, প্যান্ট ও মুখে ছাপ দাঁড়ি ছিল।

স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, সকাল ১০টার দিকে রাস্তায় লাশটি পড়ে থাকতে দেখে স্থানীয়রা। পরে পথচারীদের কাছে খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে লাশ উদ্ধার করে। কি কারণে তার মৃত্যু হয়েছে স্পষ্ট জানা না গেলেও স্থানীয়দের ধারণা বিদ্যুৎস্পৃষ্টে তার মৃত্যু হয়।

কর্ণফুলী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মুহাম্মদ শরীফ জানান, লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য চট্টগ্রাম মেডিকেল হাসপাতালে পাঠানো হচ্ছে। পরিচয় সনাক্তে কাজ করাসহ এ ঘটনায় আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।




Ads

বদলির আদেশ উপেক্ষা করে পদুয়ায় বহাল ফরেস্টার মামুন মিয়া

বদলির আদেশ উপেক্ষা করে পদুয়ায় বহাল ফরেস্টার মামুন মিয়া
ছবি সংগৃহীত।

চট্টগ্রাম দক্ষিণ বন বিভাগের অধীন পদুয়া রেঞ্জের ফরেস্টার মামুন মিয়ার বিরুদ্ধে একাধিক দুর্নীতি, অনিয়ম ও স্বজনপ্রীতির অভিযোগ উঠলেও, বদলির আদেশ কার্যকর হয়নি। বন অধিদপ্তর থেকে তাকে বরিশালের কোস্টাল রিজিয়নে বদলি করা হলেও দীর্ঘ সময় পেরিয়ে গেলেও তিনি পুরনো কর্মস্থলেই বহাল রয়েছেন।
বিশ্বস্ত সূত্র জানিয়েছে, মামুন মিয়া চট্টগ্রাম অঞ্চলের বন সংরক্ষক (ঈ.ঋ.) মোল্লা রেজাউল করিমের ঘনিষ্ঠ হিসেবে পরিচিত এবং বন বিভাগের আলোচিত ‘চাঁদা সমন্বয়কারী বলয়ের’ সক্রিয় সদস্য। এই প্রভাবশালী বলয়ের সহায়তায় বদলির আদেশের বিরুদ্ধে সচিবালয় পর্যন্ত তদবির চালানো হচ্ছে। এমনকি সচিবের ওপর ‘মনস্তাত্ত্বিক চাপ’ সৃষ্টির অভিযোগও উঠেছে।
স্থানীয়দের অভিযোগ, ফরেস্টার মামুন মিয়া দায়িত্বে থাকার সময় রিজার্ভ বনভূমি থেকে গাছ পাচার, স’মিলে অবৈধ কাঠ সরবরাহ, বন মামলার ভয় দেখিয়ে অর্থ আদায়—এসব হয়ে উঠেছিল নিত্যদিনের চিত্র। বারবার অভিযোগ উঠলেও কার্যকর ব্যবস্থা নেয়নি সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ।
সরকারি চাকরি আচরণ বিধিমালা অনুযায়ী, বদলি আদেশ অমান্য করাকে গুরুতর অসদাচরণ হিসেবে বিবেচনা করা হয়। কিন্তু মামুন মিয়া বদলি না হয়ে এখনো পদুয়ায় বহাল থাকায় এ প্রশ্ন উঠেছে—প্রশাসনের নির্দেশ উপেক্ষা করার সুযোগ কে বা কারা তৈরি করে দিয়েছে?
এই প্রসঙ্গে যোগাযোগ করা হলে চট্টগ্রাম দক্ষিণ বন বিভাগের বিভাগীয় বন কর্মকর্তা আব্দুল্লাহ আল মামুন সাংবাদিকদের জানান, “অন্য কেউ আসলে, সে চলে যাবে।” তবে জানা গেছে, তিনিই বদলির আদেশ বাতিলের জন্য সুপারিশপত্র দিয়েছেন। এই ধরনের সুপারিশ সরকারি কর্মচারী আচরণ বিধিমালার ৩(খ) ও ৫ ধারা অনুযায়ী “প্রভাব বিস্তারমূলক অনুপযুক্ত আচরণ” হিসেবে গণ্য ।
স্থানীয় পরিবেশবাদীরা বলছেন, “যেখানে বদলি হয় প্রশাসনিক স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতার প্রতীক হিসেবে, সেখানে প্রভাব খাটিয়ে নিজ সুবিধাজনক পোস্টিং ধরে রাখার প্রবণতা গোটা কাঠামোকেই দুর্বল করে দিচ্ছে।” তারা মনে করেন, একজন কর্মকর্তার বদলি ঠেকাতে পুরো কাঠামো নীরব থাকলে প্রশ্ন উঠতেই পারে—আসলে কে নিয়ন্ত্রণ করছে বন বিভাগকে? নীতিনির্ধারক, না কি নেপথ্যের অদৃশ্য শক্তি? এই বিষয়ে কয়েকবার কল করেও মামুন মিয়ার সাথে যোগাযোগ স্থাপন সম্ভব হয়নি।

 




Ads

মাতৃত্বকালীন ছুটি নিয়ে শিক্ষিকাকে হয়রানি করা সেই শিক্ষা কর্মকর্তাকে বদলি

মাতৃত্বকালীন ছুটি নিয়ে শিক্ষিকাকে হয়রানি করা সেই শিক্ষা কর্মকর্তাকে বদলি
ছবি সংগৃহীত।


চট্টগ্রামের আনোয়ারা উপজেলার একটি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষিকাকে মাতৃত্বকালীন ছুটি নিয়ে হয়রানির জেরে উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা (টিইও) আবদুর রহমান ভূঁইয়াকে বদলি করা হয়েছে।


৯ জুলাই প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের আদেশে প্রশাসনিক কারণে তাকে কক্সবাজারের ঈদগাঁও উপজেলায় বদলি করা হয়েছে। পরবর্তীতে বিষয়টি জানাজানি হয়। আদেশে বলা হয়, তাকে ১৫ জুলাইয়ের মধ্যে দায়িত্ব হস্তান্তর করতে। অন্যথায় ১৬ জুলাই থেকে তিনি তাৎক্ষণিক অবমুক্ত বলে গণ্য হবেন।

ভুক্তভোগী ওই শিক্ষিকার নাম নাজনীন নাহার। তিনি আনোয়ারা মডেল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক। ২০২৪ সালের জুন মাসে ভারতের চেন্নাই থেকে চিকিৎসা শেষে দেশে ফেরেন তিনি। কিছুদিন পর জানতে পারেন, তিনি যমজ সন্তান গর্ভে নিয়েছেন। চিকিৎসকেরা পুরো গর্ভাবস্থায় পূর্ণ বিশ্রামের পরামর্শ দেন। এরপর জুন থেকে নভেম্বর পর্যন্ত কয়েক দফায় ছুটির আবেদন করেন নাজনীন। কিন্তু উপজেলা শিক্ষা অফিসার এসব আবেদন আমলে না নিয়ে ছুটি অনুমোদন করেননি। এমনকি অফিস আদেশ জারি না হওয়ায় কয়েক মাসের বেতন ও বিলও আটকে যায়।


গত ১৬ মে ‘মাতৃত্বকালীন ছুটি নিয়ে প্রাথমিক শিক্ষিকাকে হয়রানির অভিযোগ’ শিরোনামে ঢাকা পোস্টে প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়। শিক্ষিকা নাজনীন নাহার বলেন, নিউজের পরপরই প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর থেকে বিষয়টি খোঁজ নেওয়া হয়। বিভিন্ন গোয়েন্দা সংস্থার কর্মকর্তারাও খবরাখবর নেয়। অভিযোগ আমলে নিয়ে আমার ছুটি অনুমোদন করা হয় এবং বেতনভাতাও পরিশোধ করা হয়।




Ads

রাঙ্গুনিয়ায় দিনমজুরকে প্রকাশ্যে গুলি করে খুন করেছে সন্ত্রাসীরা

রাঙ্গুনিয়ায় দিনমজুরকে প্রকাশ্যে গুলি করে খুন করেছে সন্ত্রাসীরা
ছবি সংগৃহীত।
রাঙ্গুনিয়ায় এক দিনমজুরকে প্রকাশ্যে গুলি করে খুন করেছে সন্ত্রাসীরা। উপজেলার পদুয়া ইউনিয়নের মোবারক আলী টিলা এলাকায় বৃহস্পতিবার (১০ জুলাই) বিকালে এই ঘটনা ঘটে। 
 
তার নাম মো. রাসেল (২৫)। সে ওই এলাকার মোহাম্মদ আলীর ছেলে। 
 
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, নিহত রাসেল এক বছর আগে প্রবাস থেকে এসেছিলেন। মোবারক আলী টিলা এলাকায় বৃহস্পতিবার বিকালে একদল সন্ত্রাসী তাকে প্রকাশ্যে একাধিক গুলি করে এবং কুপিয়ে হত্যা করে পাশের ধানি জমিতে ফেলে চলে যায়। 
 
ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে দক্ষিণ রাঙ্গুনিয়া থানার ওসি সাব্বির মোহাম্মদ সেলিম জানান, তার শরীরে একাধিক শর্টগানের গুলির চিহ্ন এবং একাধিক ধারালো অস্ত্রের সাহায্যে কুপিয়ে যখম করার চিহ্ন রয়েছে। তবে ঘটনাস্থলে আশেপাশে একাধিক দোকান থাকলেও এই ব্যাপারে কেউ মুখ খুলছে না। লাশটি উদ্ধার করা হয়েছে। ঘটনাটি অধিকতর তদন্ত করে এই ব্যাপারে প্রয়োজনীয় আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে জানান তিনি।
 


দৈনিক সাম্পান

Latest News

ক্যাটাগরি