খাগড়াছড়ির দীঘিনালায় দু’পক্ষের গোলাগুলিতে নিহত ৪

খাগড়াছড়ির দীঘিনালায় দু’পক্ষের গোলাগুলিতে অন্তত ৪ জন নিহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে। শুক্রবার দিবাগত রাত ৮টার দিকে দীঘিনালার দুর্গম নারাইছড়ি এলাকায় আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে ইউপিডিএফ-জেএসএস’র মধ্যে এ গোলাগুলির ঘটনা ঘটেছে। তবে ইউপিডিএ ‘র এক প্রেসবার্তায় এ ঘটনা গুজব বলে দাবি করেছে।
পুলিশ জানায়, নারাইছড়ি বিওপি থেকে তিন কিলোমিটার দক্ষিণে জোড়াসিন্ধু কারবারি পাড়া এলাকায় শুক্রবার রাতে ইউনাইটেড পিপলস ডেমোক্রেটিক ফ্রন্ট (ইউপিডিএফ) ও সন্তু লারমার নেতৃত্বাধীন পার্বত্য চট্টগ্রাম জনসংহতি সমিতি-জেএসএস’র মধ্যে গোলাগুলি হয়। এ সময় তিনশ থেকে চারশ রাউন্ড গুলি ছোড়ে দুই পক্ষ। আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে দুই পক্ষের মধ্যে এ ঘটনা ঘটেছে।
দীঘিনালা থানার অফিসার ইনচার্জ মো. জাকারিয়া বলেন, এলাকাটি অত্যন্ত দুর্গম। তবে জানতে পেরেছি গোলাগুলির ঘটনা ঘটেছে। এতে কয়েকজন মারা যাওয়ার খবর শুনেছি তা নিশ্চিত নই।
তবে ইউপিডিএফের সংগঠক অংগ্য মারমা এমন ঘটনার বিষয়টি অস্বীকার করে গণমাধ্যমে পাঠানো এক প্রেসবার্তায় বলেন এটি একটি গুজব। ২৬ জুলাই ২০২৫ শনিবার সংবাদ মাধ্যমে দেওয়া এক বিবৃতিতে ইউপিডিএফের মুখপাত্র অংগ্য মারমা উক্ত মন্তব্য করে আরও বলেন, মিডিয়ায় প্রচারিত উক্ত গোলাগুলির ঘটনা সংঘটিত হওয়ার কোন তথ্য ইউপিডিএফের জানা নেই এবং ইউপিডিএফ একটি গণতান্ত্রিক দল হিসেবে ‘গণমুক্তি ফৌজ’ বা ‘পিপলস্ লিবারেশন আর্মি’ নামে তার কোন সামরিক শাখা থাকার প্রশ্ন একেবারে অবান্তর ও কাল্পনিক। ইউপিডিএফ কখনো এ ধরেনরে সংঘাতে জড়ায় না বলে দাবি করেন।