Ads

বান্দরবান জেলা যুবদলের নেতাদের বিরুদ্ধে অভিযোগের পাহাড় !

বান্দরবান জেলা যুবদলের নেতাদের বিরুদ্ধে অভিযোগের পাহাড় !
সভাপতি মাসুম ও সম্পাদক আরিফ।

রাজধানীর মিটফোর্ড হাসপাতালের সামনে ভাঙারি পণ্যের ব্যবসায়ী সোহাগকে নৃশংসভাবে হত্যার ঘঁনায় যখন যুবদল নিয়ে বিনেপিতে তোলপাড় চলছে ঠিক সে সময়ে বান্দরবান জেলা যুবদলের সভাপতি সাধারণ সম্পাদককে নিয়ে শুরু হয়েছে তুমুল আলোচনা-সমালোচনার ঝড়। জেলা যুবদলের সভাপতি -সাধারণ সম্পদকের বিরুদ্ধে জমেছে অভিযোগের পাহাড়।
বান্দরবান জেলা যুবদলের সভাপতি জহির উদ্দিন মাসুমের বিরুদ্ধে দখল বাণিজ্যের অভিযোগ উঠেছে। স্থানীয় একাধিক সূত্রে জানিয়েছে মাসুম তার সহযোগীরা দুইটি সমিতি জোরপূর্বক দখল করে নিয়েছে।প্রত্যক্ষদর্শী ও ভুক্তভোগীদের অভিযোগ মাসুমের নেতৃত্বে একটি চক্র জীপ মাইক্রোবাস শ্রমিক ইউনিয়ন সমিতির সাবেক সাধারণ সম্পাদক কে মারধর করে সমিতির অফিস দখল করে। এবং সাধারণ সদস্যদের বিভিন্ন ভয়-ভীতি দেখিয়ে সভাপতির পদ দখল করে নেয়। এবং বান্দরবান সিএনজি মাহিন্দ্রা সমিতির সভাপতি ছিলেন আওয়ামী লীগের মেয়র শামসুল ইসলাম উনাকে বিভিন্ন ভয়ভীতি দেখিয়ে বান্দরবান সিএনজি মাহিন্দ্রা মালিক সমিতির সভাপতির পর থেকে সরিয়ে দেয়। বান্দরবান সিএনজি মাহিন্দ্র মালিক সমিতি নির্বাচন দেওয়ার কথা বলে নির্বাচন দেয় নাই। এবং বিএনপি’র আরেক নেতা সভাপতির প্রার্থী ছিলেন উনাকে জহির উদ্দিন মাসুমের বাহিনীর লোকজন এসে ওই সভাপতির প্রার্থীকে লাঞ্ছিত করে সমিতির অফিস থেকে বিতাড়িত করে। সাধারণ সদস্য রা এ বিষয়গুলো নিয়ে প্রতিবাদ করলে জহির উদ্দিন মাসুমের বাহিনীর লোকজন তাদেরকে বিভিন্নভাবে হেনস্থার স্বীকার করেন। এবং ৫ই আগস্টের পরে বিভিন্ন লোক জনের কাছ থেকে বিভিন্নভাবে ভয়ভীতি দেখিয়ে লক্ষ লক্ষ টাকা হাতিয়ে নেয় । এবং বিভিন্ন সরকারি বেসরকারি অফিসে গিয়ে চাদা দাবী করেন। এবং বিভিন্ন আবাসিক হোটেল থেকে জহির উদ্দিন মাসুমের নেতৃত্বে লোকজন গিয়ে চাঁদা আদায়ের অভিযোগ উঠে।
বান্দরবান জেলা বিএনপির সিনিয়র নেতাদের সাথে এ বিষয়গুলো জানতে চাইলে তারা বলেন বান্দরবান জেলা যুবদলের সভাপতি জহির উদ্দিন মাসুম অন্যায় করে থাকলে সেটি তার ব্যক্তিগত বিষয়। সে যদি কোন অপরাধ করে থাকে দলীয় সিদ্ধান্ত অনুযায়ী তার শাস্তি হওয়া দরকার। বিএনপি’র ভাইস চেয়ারম্যান তারেক রহমান বারবার একটি কথা বলেছেন কোন দখলদারি করা যাবে না যদি কেউ করে থাকে তাকে দল থেকে বহিষ্কার করা হবে। এবং তার বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
এদিকে বান্দরবান সদর উপজেলার বাঘমারা বাজারে চলাচলকারী যানবাহন থেকে জোর পূর্বক চাঁদা আদায়ের অভিযোগ উঠেছে বান্দরবান জেলা যুবদলের সাধারণ সম্পাদক আরিফ চৌধুরীর বিরুদ্ধে। এর প্রতিবাদে সোমবার (৭ জুলাই) দুপুরে বান্দরবান প্রেসক্লাবের সামনে বাঘমারা এলাকার স্থানীয় বাসিন্দাদের উদ্যোগে এ মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়। পরে বান্দরবান পার্বত্য জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান বরাবর একটি স্মারকলিপি দেওয়া হয়।
এসময় মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, আমরা স্থানীয়দের বিগত দিনে ২৫-৩০ কেজি পর্যন্ত মালামাল বান্দরবানে আনতে কোন ধরনের টেক্স দিতে হয় নাই। সম্প্রীতি টোল-টেক্স এর নামে বান্দরবান জেলা যুবদলের সাধারণ সম্পাদক ও তার সঙ্গীরা জোর পূর্বক টেক্স আদায়ের নামে প্রতিটি গাড়ী থেকে চাঁদা আদায় করে আসছে। 
 

আজকের খবর

বক্তারা আরও বলেন, যদি জেলা পরিষদ থেকে বাজার ইজারা দেয়া হয় তাহলে বাজারে বিক্রি করা মালামাল থেকে টেক্স উত্তোলন করবে, কিন্তু তা না করে বাজারের উপর দিয়ে মালামাল বহনকারী গাড়ী থেকে (যা বাজারে বিক্রি বা নামানো হয় না) এমনকি ছোট পরিবহন থেকেও বেপরোয়া ও অতিরিক্ত হারে টোল আদায়ের নামে দলীয় লোকজন নিয়ে চাঁদাবাজীর মত জোরপূর্বক টোল টেক্স আদায় করছে। যা সম্পূর্ণভাবে অনৈতিক, আইনবিরোধী ও খুবই দু:খজনক ঘটনা। এ ধরনের চাঁদাবাজী বন্ধ না হলে এলাকার সাধারণ ব্যবসায়ী ও স্থানীয় জনগণ মারাত্মকভাবে ক্ষতির সম্মুখীন হচ্ছে। তাই দ্রুত এ ধরনের চাঁদাবাজী বন্ধ করার জন্য প্রশাসনের নিকট আহ্বান জানান বক্তারা। 
এসময় মানববন্ধনে বাঘমারা এলাকার ব্যবসায়ী, স্থানীয় বাসিন্দাসহ শতাধিক নারী-পুরুষ অংশগ্রহণ করেন।      
এই বিষয়ে জেলা যুবদলের সভাপতি মাসুম জানান আমারা যড়যন্ত্রেও শিকার। আমার নামে নিদিষ্ট কোন অভিযোগ থাকলে বলেন। আমি পদতাগ করবো। ১৭ বছর আমার নিগ্রহের শিকার । এখনো আমাদের বিরুদ্ধে রাজনৈতিকভাবে যড়যন্ত্র হচ্ছে।
অপর দিকে জেলা যুবদলের সাধারণ সম্পাদক আরিফও তার বিরুদ্ধে উঠা অভিযোগ অস্বিকার করেছেন। তিনি এই বিষয়ে সংবাদ মাধমকে জানান আমি রাজনৈতিক প্রতিহিংসার শিকার।
 




Ads

জাতিসংঘের মানবাধিকার অফিস নিয়ে কঠোর কর্মসূচি ঘোষণার হুঁশিয়ারি হেফাজতের

জাতিসংঘের মানবাধিকার অফিস নিয়ে কঠোর কর্মসূচি ঘোষণার হুঁশিয়ারি হেফাজতের
ছবি সংগৃহীত।


অন্তর্বর্তীসরকার ঢাকায় জাতিসংঘের মানবাধিকার কমিশনের অফিস স্থাপন চুক্তিতে সই করায় তীব্র প্রতিবাদ জানিয়ে হেফাজতে ইসলামের আমির মুহিব্বুল্লাহ বাবুনগরী ও মহাসচিব সাজেদুর রহমান।

 


শনিবার (১৯ জুলাই) গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে তারা অবিলম্বে চুক্তি বাতিল না করলে কঠোর কর্মসূচি দেওয়ার হুঁশিয়ারি দিয়েছেন।

বিবৃতিতে হেফাজত নেতারা বলেন, নাগরিকদের মতামত ও উদ্বেগ উপেক্ষা করে কোনো স্পর্শকাতর ইস্যুতে এককভাবে সিদ্ধান্ত নিতে পারে না সরকার। অবিলম্বে এ চুক্তি বাতিল না করলে কঠোর কর্মসূচি দিতে বাধ্য হবো। মার্কিন স্বার্থে তাঁবেদার জাতিসংঘের মানবাধিকার অফিস এদেশে হতে দেওয়া যায় না। এটা এদেশের ওলামায়ে কেরামের নীতিগত সিদ্ধান্ত।


তারা আরও বলেন, জাতিসংঘের মানবাধিকার অফিস সাধারণত যুদ্ধবিধ্বস্ত দেশগুলোতেই দেখা যায়। সেই অফিস এখন আমাদের দেশে হওয়াটা সম্মানজনক নয়। বাংলাদেশ কোনো যুদ্ধপীড়িত দেশ না হওয়া সত্ত্বেও এখানে তাদের অফিস করতে চাওয়াটা রহস্যজনক। এছাড়া জুলাই বিপ্লবের দাবিগুলো বাস্তবায়িত হলে জাতিসংঘের মানবাধিকার কমিশনের অফিস এদেশে কোনো দরকার নেই। অন্তর্বর্তী সরকারের উচিত সময় নষ্ট না করে জুলাই বিপ্লবের দাবিগুলো দ্রুত বাস্তবায়ন করা।

হেফাজত নেতারা বলেন, অতীতে বিভিন্ন দেশি-বিদেশি সংস্থা বাংলাদেশের মুসলিম পারিবারিক আইন, ইসলামী শরিয়াহ ও ধর্মীয় মূল্যবোধের ওপর হস্তক্ষেপের চেষ্টা করেছে। নারী সংস্কার কমিশনের প্রতিবেদনেও একই চিত্র দেখা গেছে। এছাড়া সমকামী তথা এলজিবিটি ইস্যুটি জাতিসংঘের মানবাধিকার কমিশনের মানবাধিকার দর্শন ও নীতিমালার অন্তর্ভুক্ত। সম্প্রতি বাংলাদেশের ধর্মীয়-সামাজিক মূল্যবোধ অবজ্ঞা করে একজন সমকামী ব্যক্তিকে বাংলাদেশে জাতিসংঘের নতুন দূত নিয়োগ দেওয়ার সংবাদ গণমাধ্যমে এসেছে। আমাদের দেশে নারী ইস্যুর আড়ালে অভিশপ্ত এলজিবিটি সম্প্রদায় প্রকাশ্যে নানা অপতৎপরতা শুরু করেছে।


‘পার্বত্য চট্টগ্রাম ঘিরে দেশি-বিদেশি ষড়যন্ত্র আরো বিস্তৃত হচ্ছে। এমতাবস্থায় এদেশে জাতিসংঘের মানবাধিকার কমিশনের অফিস খোলার পরিণতি আমাদের কাছে পরিষ্কার। দৃশ্যত আমাদের দেশের সার্বভৌমত্ব এবং ধর্মীয়-সামাজিক মূল্যবোধ রক্ষার দায় বোধ করছে না অন্তর্বর্তী সরকার। তাই বলে আমরা ওলামায়ে কেরাম চুপ করে বসে থাকতে পারি না।’

তারা আরও বলেন, ‘২০১৩ সালের ৫ মে মতিঝিল শাপলা চত্বরে নিরীহ আলেম-ওলামা ও ধর্মপ্রাণ মানুষের গণজমায়েতের ওপর সংঘটিত বর্বর গণহত্যা নিয়ে জাতিসংঘের মানবাধিকার কমিশন আজ পর্যন্ত কোনো বিবৃতি দেয়নি। তাছাড়া ফ্যাসিস্ট হাসিনার কথিত জঙ্গি-নাটকসংশ্লিষ্ট মানবাধিকার লঙ্ঘন নিয়ে কখনো তারা অফিশিয়ালি উদ্বেগ প্রকাশ করেনি। আমেরিকা ও ভারত সুযোগ করে না দিলে এদেশে রাষ্ট্র কর্তৃক কখনো কথিত জঙ্গিবাদ দমনের নামে আলেম-ওলামা ও ইসলামপন্থিদের ওপর মানবাধিকার লঙ্ঘন ঘটতে পারত না। এক্ষেত্রে জাতিসংঘের মানবাধিকার কমিশনের অফিস থাকা না-থাকায় কিছু যায় আসে না। ফিলিস্তিনে গত ৩০ বছর ধরে জাতিসংঘের মানবাধিকার অফিস থেকেও কোনো লাভ হয়নি। ফলে বাংলাদেশকে আমরা নতুন যুদ্ধক্ষেত্র বানানোর ষড়যন্ত্র বাস্তবায়ন হতে দেবো না, ইনশাআল্লাহ’।         




Ads

নতুন করে কোনো গডফাদারের আবির্ভাব হতে দেব না : নাহিদ ইসলাম

নতুন করে কোনো গডফাদারের আবির্ভাব হতে দেব না : নাহিদ ইসলাম
ছবি সংগৃহীত।


জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম বলেছেন, শেখ হাসিনা একটা গডফাদার ছিল। তার আন্ডারে ছোট ছোট গডফাদার বাংলাদেশজুড়ে ছিল। আমরা সেই গডফাদারতন্ত্রের অবসান ঘটিয়েছি। আমরা নতুন করে কোনো গডফাদারের আবির্ভাব হতে দেব না। মাফিয়াতন্ত্র, গডফাদারতন্ত্র, পরিবারতন্ত্র, স্বৈরতন্ত্র সবকিছুকে বাংলাদেশ থেকে উচ্ছেদ করতে হবে। জনগণের বাংলাদেশ, জনগণতান্ত্রিক বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠা করতে  হবে।  


শনিবার (১৯ জুলাই) দুপুরে কক্সবাজার শহরের পাবলিক লাইব্রেরি চত্বরে শহীদ দৌলত ময়দানে আয়োজিত এনসিপির পথসভায় এসব কথা বলেন তিনি। ‘দেশ গড়তে জুলাই পদযাত্রা’র অংশ হিসেবে কক্সবাজারে এ পথসভা অনুষ্ঠিত হয়

নাহিদ ইসলাম বলেন, জাতীয় নাগরিক পার্টি ঘোষণা দিয়েছিল হিমালয় থেকে বঙ্গোপসাগর হবে বাংলাদেশের, বাংলাদেশের জনগণের। বঙ্গোপসাগর থেকে যে সভ্যতা তৈরি  হয়েছিল আমরা সেই সভ্যতার উত্তরাধিকারী। সমুদ্রের সঙ্গে লড়াই করে আপনাদের জীবন চলে আমরা জানি। সংগ্রাম এবং সাহসিকতার অপর নাম কক্সবাজার।


তিনি বলেন, পর্যটনশিল্পের জন্য কক্সবাজার বিখ্যাত। কিন্তু আমরা এই পর্যটন শিল্পের যথাযথ মর্যাদা দিতে পারিনি। কক্সবাজারের মানুষকে সাথে নিয়ে পর্যটনশিল্প গড়ে তুলতে পারিনি। পর্যটন শিল্পের নামে এখানে লুটপাট হচ্ছে, হয়েছে। আমরা চাই পরিবেশবান্ধব কক্সবাজার গড়ে উঠুক। যেখানে কক্সবাজারের মানুষের অধিকার নিশ্চিত হবে।  


তিনি আরও বলেন, দীর্ঘদিন ধরে বাংলাদেশে একটি সমস্যা হলো রোহিঙ্গা সংকট। রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীর প্রতি আমাদের দরদ রয়েছে। তাদেরকে অধিকারহীন, রাষ্ট্রহীন করে রাখা হয়েছে। কিন্তু তার সমাধান এটা না যে, বছর পর বছর বাংলাদেশ তাদের দায়িত্ব নেবে। রোহিঙ্গাদের দায়িত্ব নিতে গিয়ে আমরা কক্সবাজারের মানুষের প্রতি বেইনসাফি করছি, সেদিকেও আমাদের খেয়াল রাখতে হবে। কক্সবাজারের মানুষের যাতে নিরাপত্তা, আইনশৃঙ্খলার বিঘ্ন না ঘটে এসব কিছু বিবেচনায় রোহিঙ্গাদের প্রত্যাবর্তনের জন্য অতি দ্রুত আমাদের ব্যবস্থা নিতে হবে।

অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের দৃষ্টি আকর্ষণ করে নাহিদ বলেন, ড. ইউনূসের প্রতি আহ্বান জানাবো এবং পুরো বিশ্ব বিবেকের প্রতি আহ্বান জানাবো, আপনারা রোহিঙ্গা ইস্যু দ্রুত সমাধান করুন। রোহিঙ্গাদের তাদের দেশে সম্মানের এবং অধিকারের সহিত পোঁছানোর ব্যবস্থা করুন।

এ সময় এনসিপির সিনিয়র যুগ্ম সদস্য সচিব ডা. তাসনিম জারা, মুখ্য সমন্বয়ক নাসীরউদ্দীন পাটওয়ারী, দক্ষিণাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক হাসনাত আবদুল্লাহ প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।




Ads

চাঁদাবাজের কবল থেকে রক্ষার আহ্বান জানাল বিএনপি

চাঁদাবাজের কবল থেকে রক্ষার আহ্বান জানাল বিএনপি
ছবি সংগৃহীত।


চট্টগ্রাম শহরের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির উন্নতি এবং নিরপরাধ ব্যবসায়ীদের মিথ্যা মামলা ও চাঁদাবাজির কবল থেকে রক্ষার জন্য জোর আহ্বান জানিয়েছে বিএনপি।

শুক্রবার (১৮ জুলাই) বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব অ্যাডভোকেট রুহুল কবির রিজভীর সই করা এক বিবৃতিতে জানানো হয়, রাজধানীর পর চট্টগ্রাম দেশের দ্বিতীয় গুরুত্বপূর্ণ শহর। সারা দেশের ব্যবসা বাণিজ্য পরিচালিত হয় চট্টগ্রাম থেকেই। ব্যবসা বাণিজ্যের উন্নতি এবং দেশের আর্থিক খাতকে শীর্ষস্থানে নিয়ে যেতে হলে এই শহরটিতে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির উন্নয়ন অপরিহার্য।

কিন্তু দুর্ভাগ্যজনক হলেও সত্য যে, বর্তমানে চট্টগ্রাম শহরে ব্যবসায়ীসহ সাধারণ মানুষের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানি এবং চাঁদাবাজির দৌরাত্ম্যে শহরটিতে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির নাজুক অবস্থা বিরাজ করছে। এ ধরনের পরিস্থিতি ব্যবসা-বাণিজ্য কার্যক্রমে নেতিবাচক প্রভাব ফেলছে। এই পরিস্থিতি চলমান থাকলে দেশের ব্যবসা বাণিজ্য তথা অর্থনীতি স্থবির হয়ে পড়বে


বিবৃতিতে উল্লেখ করা হয়, বিএনপি সর্বস্তরের ব্যবসায়ী মহল ও জনগণকে এ বিষয়ে এক সঙ্গে দুষ্কৃতিকারীদের প্রতিহত করার আহ্বান জানায়। বিএনপি চট্টগ্রাম শহরে চাঁদাবাজি, মিথ্যা মামলা দিয়ে সাধারণ মানুষকে নাজেহাল ও অবনতিশীল আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতিতে চরম উদ্বেগ প্রকাশ করছে এবং এই সমস্ত অনাচারের বিরুদ্ধে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণে স্থানীয় প্রশাসনকে আহ্বান জানাচ্ছে।



দৈনিক সাম্পান

Latest News

ক্যাটাগরি